সকল নবী-রাসূলগণের সম্মিলিত দাওয়াত কি ছিল? | What was the combined invitation of all the prophets and messengers?

সকল নবী-রাসূলগণের সম্মিলিত দাওয়াত কি ছিল? | What was the combined invitation of all the prophets and messengers?

অর্থ: “আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই
দিয়েছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। সুতরাং আমারই
এবাদত করো।” (সূরা আম্বিয়া, ২৫)

অর্থ: “তিনি তোমাদের জন্যে দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নিধারিত করেছেন,
যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি
এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে,
তোমরা দ্বীনকে প্রতিন্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না। (শুরা,
৪২ঃ ১৩)

তাওহীদের বিষয়ে ৯ নবীর ভাষণ
নুহ (আঃ)
নিশ্চয় আমি নুহকে তার সম্প্রদায়ের প্রতি পাঠিয়েছি। সে বলল: হে আমার
সম্প্রদায়, তোমরা আলাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীত − তোমাদের কোন
উপাস্য নেই। আমি তোমাদের জন্যে একটি মহাদিবসের শাস্তির আশঙ্কা
করি। [সুরা আরাফ, ৭:৫৯]

জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
তার সম্প্রদায়ের সদার্ররা বলল: আমরা তোমাকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতার
মাঝে দেখতে পাচ্ছি। [সুরা আরাফ, ৭:৬০]

হুদ (আঃ)
আদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই হুদকে। সে বলল: হে
আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল−াহর এবাদত কর। তিনি ব্যতিত তোমাদের
কোন উপাস্য নেই। [সুরা আরাফ, ৭:৬৫]

জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
তারা সপ্রদায়ের সর্দররা বলল: আমরা তোমাকে নিবোর্ধ দেখতে পাচ্ছি
এবং আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদী মনে করি। [সুরা আরাফ, ৭:৬৬]

তারা বলল: তুমি কি আমাদের কাছে এজন্যে এসেছ যে আমরা এক
আল−াহর এবাদত করি এবং আমাদের বাপ-দাদা যাদের পূজা করত,
তাদেরকে ছেড়ে দেই? অতএব নিয়ে আস আমাদের কাছে যাদ্দ্বারা
আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছ, যদি তুমি সত্যবাদী হও। [সুরা আরাফ, ৭:৭০]

সালেহ (আঃ)
সামুদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই সালেহকে। সে বলল:
হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল−াহর এবাদত কর। তিনি ব্যতিত
তোমাদের কোন উপাস্য নেই। তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের
পক্ষ থেকে একটি প্রমাণ এসে গেছে। এটি আল−াহর উষ্টী তোমাদের জন্যে
প্রমাণ। অতএব একে ছেড়ে দাও,আল−াহর ভুমিতে চড়ে বেড়াবে। একে
অস[ ভাবে স্পর্শ করবে না। অন্যথায় তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক
শাস্তি পাকড়াও করবে। [সুরা আরাফ, ৭:৭৩]

জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
অর্থ: “দাম্ভিকরা বলল, তোমরা যে বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছ, আমরা
তাতে অবিশ্বাসী।” [সুরা আরাফ, :৭৬]
ইব্রাহীম (আঃ)
আপনি এই কিতাবে ইব্রাহীমের কথা বর্ণনা করুন। নিশ্চয় তিনি ছিলেন
সত্যবাদী, নবী। [সুরা মারইয়াম, ১৯:৪১]

জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
পিতা বলল: যে ইব্রাহীম, তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে
নিচ্ছ? যদি তুমি বিরত না হও, আমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে তোমার
প্রাণনাশ করব। তুমি চিরতরে আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও। [সুরা মারইয়াম, ১৯:৪৬]

শুয়াইব (আঃ)
আমি মাদইয়ানের প্রতি তাদের ভাই শোয়ায়েবকে প্রেরণ করেছি। সে
বলল: হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল−াহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীত
তোমাদের কোন উপাস্য নেই। তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের
পক্ষ থেকে প্রমাণ এসে গেছে। অতএব তোমরা মাপ ও ওজন পূর্ন কর
এবং মানুষকে তাদের দ্রব্যদি কম দিয়ো না এবং ভুপৃষ্টের সংস্কার সাধন
করার পর তাতে অনর্থ সৃষ্টি করো না। এই হল তোমাদের জন্যে
কল্যাণকর, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। [সুরা আরাফ: ৮৫]

জবাবে তার
সম্প্রদায় বললঃ
অর্থ: তার সম্প্রদায়ের দাম্ভিক সদার্ররা বলল: হে শোয়ায়েব, আমরা
অবশ্যই তোমাকে এবং তোমার সাথে বিশ্বাস স্থাপনকারীদেরকে শহর
থেকে বের করে দেব অথবা তোমরা আমাদের ধর্মে প্রত্যাবর্তন করবে।
শোয়ায়েব বলল: আমরা অপছন্দ করলেও কি? [সুরা আরাফ, ৭:৮৮]

ইয়াকুব (আঃ)
অর্থ: তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবতর্ী হয়?
যখন সে সন্তানদের বলল: আমার পর তোমরা কার এবাদত করবে?
তারা বললো, আমরা তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের
উপাস্যের এবাদত করব। তিনি একক উপাস্য। [সুরা বাক্বারা, ২:১৩৩]

ইউসুফ (আঃ)
অর্থ: “হে কারাগারের সঙ্গীদ্বয়! পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল, না
পরাক্রমশালী এক আলাহ? [সুরা ইউসুফ, ১২:৩৯]

ঈসা (আঃ)
অর্থ: “তিনি (ঈসা আঃ) আরও বললেন: নিশ্চয় আল−াহ আমার পালনকতার্ 
ও তোমাদের পালনকতার্। অতএব, তোমরা তার এবাদত কর। এটা সরল
পথ। [সুরা মারইয়াম, ১৯:৩৬]

মুহাম্মদ (সাঃ)
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম তিনি ও এ
তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন, বরং মেরাজের পূর্ব পর্যন্ত শুধু তাওহীদের
দাওয়াতই দিয়েছেন। কারণ মেরাজের পূর্ব পর্যন্ত সালাত, সওম, হজ্জ,
যাকাত এর বিধান নাযিল হয়নি। অপর দিকে আলাহ আছেন, তিনি −
সৃষ্টিকতার্, রিজিকদাতা, বৃষ্টিদাতা, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, এর পরিচালক এ
সকল বিষয়গুলোকে মক্কার কাফেরগণ পূর্ব থেকেই বিশ্বাস করতো, সুতরাং
রাসূল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম এসে তাদেরকে তাওহীদের
দাওয়াত দিতে লাগলন, তিনি ঘোষণা করলেন :
অর্থ: “আর তোমাদের উপাস্য একইমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা
করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।” [সুরা বাক্বারা, ২:১৬৩]
অর্থ: “বলুন: আমাকে তো এ আদেশই দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের
উপাস্য একমাত্র উপাস্য। সুতরাং তোমরা কি আজ্ঞাবহ হবে? [সুরা
আম্বিয়া, ২১:১০৮]

অর্থ: “আল−াহ বল লেন: তোমরা দুই উপাস্য গ্রহণ করো না উপাস্য তো
মাত্র একজনই। অতএব আমাকেই ভয় কর। [সুরা নাহল, ১৬:৫১]

রাসূল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন
বলেই মক্কার কাফেরগণ উত্তর দিয়েছিলো:
অর্থ: “সে কি বহু উপাস্যের পরিবর্তে এক উপাস্যের উপাসনা সাব্যস্ত
করে দিয়েছে। নিশ্চয় এটা এক বিস্ময়কর ব্যাপার।” [সুরা সাদ, ৩৮:৫]

বুঝা গেল মক্কার তৎকালীন কাফিরগণ এর ঘোষণা শুনেই
বুঝতে পেরে ছিল যে, এই কালিমার মানে কি? তারা বুঝতে পেরেছিল
ঘোষণার মূল দাবী কি? এই কালিমার দাবী হচ্ছেঃ

ঘোষণার সারমর্ম/মূলকথা
আমরা জানি ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ। আর তাওহীদের
চুড়ান্ত ঘোষণা হচ্ছে ‘ ্থ ।এ কালেমাকে স্বীকার করার
অর্থ হচ্ছে নিম্ন বর্ণিত বিষয়গুলোকে মেনে নেয়াঃ
• আল−াহ এক, একক, অনন্য, অদ্বিতীয় বলে বিশ্বাস করা।
•  আলাহ ব্যতীত আর কাউকে সৃষ্টিকতার্, প্রতিপালক, রিযিক − -দাতা,
জীবন-মৃত্যুর মালিক এবং রক্ষাকারীরূপে বিশ্বাস না করা।
* একমাত্র আল−াহকেই সর্বজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান, গায়েবের ব্যাপারে
ওয়াকিফহাল বলে বিশ্বাস করা। আর কাউকে এরূপ বিশ্বাস না করা।
* আল−াহ ব্যতীত আর কাউকে উপকার-অপকার/লাভ-ক্ষতির
মালিক বিশ্বাস না করা।

 আল−াহ তা’আলাকেই একমাত্র সার্বভেঞ্ঝ ম ক্ষমতার মালিক বলে
বিশ্বাস করা। এবং আর কেউ তার এ একচ্ছত্র ক্ষমতার শরীক নেই
বলে বিশ্বাস করা।

* আল−াহ ব্যতীত আর কাউকে রব, আইন-বিধানদাতা বলে বিশ্বাস
না করা। একমাত্র আল−াহই আমাদের রব, আইন -বিধানদাতা বলে
বিশ্বাস করা।

* আল−াহ ছাড়া আর কাউকে ইবাদত-বন্দেগীর অধিকারী,
সাহায্যকারী, বিপদ হতে উদ্বারকারী, মুক্তিদাতা বলে বিশ্বাস না করা।
* আল−াহ ছাড়া আর কারও দাস বা বান্দা হয়ে থাকা যাবে না।
নিজের প্রবৃত্তি ও দেশে প্রচলিত প্রথার অন্ধ অনুসরণ না করা।
* জীবনের প্রত্যেক ব্যাপারে আল−াহর বিধানকে একমাত্র ভিত্তি বলে
মানা এবং সে অনুযায়ী প্রত্যেকটি কাজ করা।
* আল−াহ ছাড়া অন্য কারও নিকট দোয়া এবং সাহায্য প্রার্থনা না করা।
* আল−াহ ছাড়া আর কারও উপর নির্ভর এবং কারও নিকট আশা
পোষণ না করা এবং কাউকে ভয় না করা।
* আল−াহ ব্যতীত আর কাউকে সবচেয়ে প্রিয় না জানা এবং তাঁকেই
অসীম প্রেমময় এবং অসীম করুনার অধিকারী বলে বিশ্বাস করা।
* কোন মানুষ, দল, সমাজ বা শাসন কতর্ৃপক্ষকে আল−াহর আইন,
বিধান, শরীয়তের পরিবর্তন বা সংশোধনের অধিকারী বলে স্বীকার না
করা।
* জীবনের প্রত্যেক কাজের জবাবদিহি শুধু আল−াহর নিকট করতে
হবে এ বিশ্বাস হৃদয়ে-মনে সবসময় জাগ্রত রাখা এবং যে কাজে
আল−াহ সন্তুষ্ট হন সে কাজ করতে এবং যে কাজে আল−াহ অসন্ —ু
হন সে কাজ থেকে বিরত থাকতে সর্বদা চেষ্টা করা।

* আল−াহ ছাড়া আর কাউকে সকল প্রয়োজন পূরণকারী, ক্ষমার
অধিকারী এবং হেদায়েত দানকারীরূপে বিশ্বাস না করা।
* নবী, ফেরেশতা, ওলী-আউলিয়া, সাধু-স্বজন কে ইলাহী
ব্যবস্থাপনার মধ্যে পরিবর্তন ও সংযোজন করবার এবং আলাহর নিকট −
সুপারিশ করার অধিকারী বলে বিশ্বাস না করা। তবে সুপারিশ করার
ক্ষেত্রে পরকালে শুধু যার অনুমতি হবে (যেমন নবী এবং ঈমানদাররা)
তারাই শুধু সুপারিশ করতে পারবে।
* কাউকে আল−াহর সন্তান, আত্মীয়, অংশীদার বা শরীক বিশ্বাস না
করা। এই বিশ্বাস থাকতে হবে যে, এসব থেকে নিশ্চয় আল−াহ মুক্ত
এবং পবিত্র। যিনি এক, একক – তার কোন শরিক নেই।
* কোন বস্তু বা প্রাণীর মধ্যে মিশ্র বা অবিমিশ্র ভাবে আল −াহর
অস্তিত্ব বা অবতারত্ব স্বীকার না করা। যেমন – হিন্দুরা রামকে
ভগবানের অবতার মনে করে।
• আল−াহ প্রতি মুহুর্তে জীবন্ত, জাগ্রত এবং সৃষ্টিজগতের সব অবস্থা
সম্পর্কে অবগত, তাঁকে সবচেয়ে নিকটবতর্ী বলে বিশ্বাস করা। ছোট
বড় সকল কাজই আল−াহর ইচ্ছায় সংঘটিত হয় বলে বিশ্বাস করা।
• নিজেকে কোন বস্তুর মালিক বা অধিকারী বলে না জানা।
এমনকি স্বীয় প্রাণ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, দৈহিক এবং মানসিক শক্তিকেও
আল−াহর নিকট থেকে প্রাপ্ত গচ্ছিত বস্তু মনে করা।
মোদ্দা কথা: ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্র
জীবন- সর্বক্ষেত্রে এক আলাহর সার্ব − ভৌমত্ব এবং তাঁর কমান্ড মেনে
নেওয়াই হচ্ছে এর মর্ম কথা।
এর দুটি অংশ ঃ
• মানে সকল বাতিল ইলাহ কে বর্জন, মানে শুধু
আল­াহকে গ্রহণ।
•  মানে Ñ সকল থেকে নিজেকে মুক্ত করা,
আর মানে Ñ শুধুমাত্র আল­াহর প্রতি ঈমান আনা।
• সকল এর আর মানে শুধু আল­াহর


এখানেই কাফিরদের/মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের মূল পার্থক্য।
কাফিররা আল­াহকে ও মানে আবার মূর্তিও মানে। তাই একদিকে
আল­াহর ইবাদত করতো আবার অপর দিকে খানায়ে কাবা ও তার
আশ-পাশে তিনশত ষাটটি মূর্তি স্থাপন করে ছিল। এজন্য কাফিরদের
সঙ্গে আমাদের নিয়ে কোন বিরোধ নাই, বিরোধ হচ্ছে
নিয়ে।
এ জন্যেই বোধ হয় আমাদের দেশের অনেক পীর সাহেবদেরকে দেখা
যায়, যারা মুরীদদের কে শুধু যিকির করায় আবার কেউ
আস্তে জোরে যিকির করায়, আবার কেউ আগে
পরে যিকির করায় যাতে কাফির, মুশরিক এবং শয়তানরা শুনে ক্ষেপে
না যায়।
রাসূল (সাঃ) এর সাথে মক্কার মুশরিকদের ‘ ’-নিয়েই বিরোধ
ছিল, নিয়ে নয়
প্রথম দলীল, আাল­াহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ
‘তাদের যখন বলা হত, আল­াহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তখন তারা
ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত। (ছফফাত, ৩৭ঃ ৩৫)

আমাদের বুঝতে হবে যে, মক্কার মুশরিকরা -র মধ্যে কোন
মতবিরোধ করে নি, বরং তারা মতবিরোধ করেছিল শুধুমাত্র -র
মধ্যে!

তারা বলতো
আল্লাহর ছিফতকে
আল্লাহর কুদরতকে
আল্লাহর ইলমকে
আল্লাহর যে ব্যাবস্থাপনা
আল্লাহর জমিনের সৃষ্টিকারী।
আল­াহকে তো আমরাও মানি
আমরাও মানি
আমরাও মানি
আমরাও মানি
আমরাও মানি
আমরাও মানি
আল­াহ আসমান সৃষ্টিকারী।
চন্দ্র, সূর্য সৃষ্টিকারী।
আমরাও মানি
আমরাও মানি

ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

Previous
Next Post »