মক্কার লোকদের সাথে আমাদের পার্থক্য | Our difference with the people of Makkah


মক্কার লোকদের সাথে আমাদের পার্থক্য | Our difference with the people of Makkah

মক্কার লোকদের সাথে আমাদের পার্থক্য
পূর্বের আলোচনায় এই কথা প্রমাণিত হয়েছিল যে, রাসূল সাল­াল­াহু
সাল­ামের যুগের কাফির, মুশরিক, ইহুদী, নাসারা এবং ফেরাউনও
আল­াহকে বিশ্বাস করত, এমনকি শয়তানও আল­াহকে বিশ্বাস করে।
তাহলে তাদের ও আমাদের মাঝে পার্থক্য কোথায়? কেন তারা কাফির
আর আমরা মুসলিম? কেন তারা আল­াহর দুশমন এবং আমরা আল­াহর বন্ধু? কেন তারা জাহান্নামী এবং মুসলিমরা জান্নাতী?
পার্থক্য শুধুমাত্র তাওহীদ একজন মুসলিম আর কাফিরের মাধ্যে মূল পার্থক্য হলো তাওহীদ। শুধুমাত্র আল­াহ আছেন এটি বিশ্বাস করলেই মুসলিম হওয়া যায় না। আল­াহ আছেন এই বিশ্বাস করার পরে আল­াহর সকল আদেশ-নিষেধ মেনে নেয়া এবং তার সাথে কোন শরীক না করার মাধ্যমেই কেবল পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হওয়া সম্ভব। সকল নবী-রাসূলগনের সম্মিলিত দাওয়াত ছিল তাওহীদ অর্থ: “আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। সুতরাং আমারই এবাদত কর।” [সুরা আল-আম্বিয়া, ২১:২৫]

এবার আমরা যদি তাওহীদের এই বিষয়টি আমরা মহানবী সা. এর সীরাত
থেকে গ্রহণ করি তাহলে দেখবো যে, রাসূল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া
সাল­াম অহী প্রাপ্ত হওয়ার পর প্রায় তিন বৎসর পর্যন্ত গোপনে ইসলাম
প্রচার করেন, অতঃপর যখন প্রকাশ্যে দাওয়াত দেয়ার আয়াত অবতীর্ণ
হলো, ঘোষণা হলো:
অর্থ: “হে নবী! আপনি আপনার নিকটাত্মীয়দেরকে তাওহীদের দাওয়াত
দিন।” (সূরা শুআরা, আয়াত: ২১৪)

আরো অবতীর্ণ হলো,
অর্থ: “হে নবী! আপনার উপর যেই সকল ওহী অবতীর্ণ করা হয় আপনি
লোকদেরকে সেই তাওহীদের দাওয়াত দিন।” (সূরা হিজর, আয়াত: ৯৪)

তখন প্রিয়নবী সা. তৎকালীন আরবের প্রথা অনুযায়ী সকাল বেলা গিয়ে
সাফা পাহাড়ের চূড়ায় আরোহন করে, মক্কার বিভিন্ন গোত্রের নাম ধরে ডাক দিলেন। যখন সকলেই বুঝলো যে, এটা মুহাম্মদ সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম এর ডাক, তখন নেতারা সকলেই দ্র“ত সমবেত হলো। এমনকি, যে নিজে আসতে পারে নাই, সে তার প্রতিনিধি প্রেরণ করলো। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে ঃ
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, যখন অর্থ
ঃ ‘(হে নবী!) আপনি আপনার নিকটাত্মীয়দিগকে সাবধান কর“ন’ আয়াতটি নাযিল হয়, তখন নবী করীম সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম সাফা পাহাড়ে উঠলেন এবং হে বনী ফিহর! হে বনী আ’দী! বলিয়া কুরাইশদের বিভিন্ন গোত্রকে উচ্চৈঃস্বরে ডাক দিলেন, ইহাতে তাহারা সকলে সমবেত হল। অতঃপর তিনি বললেনঃ বল তো, আমি যদি এখন তোমাদিগকে বলি যে, এই পাহাড়ের উপত্যকায় একটি অশ্বারোহী সৈন্যবাহিনী তোমাদের উপর আতর্কিতে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত রহিয়াছে, তবে কি তোমরা আমাকে বিশ্বাস করবে? সমবেত সকলে বললঃ হাঁ, কারণ আমরা আপনাকে সর্বদা সত্যবাদীই পেয়েছি। তখন তিনি বললেনঃ আমি তোমাদিগকে সম্মুখে একটি কঠিন আযাব সম্পর্কে সাবধান করিতেছি।’ এই কথা শুনিয়া আবু লাহাব বললঃ সারাটা জীবন তোমার বিনাশ হউক।
তুমি কি এইজন্যই আমাদিগকে একত্রিত করেছ? তখন
নাযিল হইল অর্থঃ আবু লাহাবের উভয় হাত ধ্বংস হউক এবং তাহার
বিনাশ হউক। Ñ (বুখারী, মুসলিম)।

অপর এক রেওয়ায়তে আছে, নবী সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম ডাক
দিলেন হে আবদে মানাফের বংশধর। প্রকৃতপক্ষে আমার ও তোমাদের
দৃষ্টান্ত হই সেই ব্যক্তির ন্যায়, যে শত্র“সৈন্যকে দেখে আপন কওমকে
বাঁচানোর জন্য চলল, অতঃপর আশংকা করল যে, দুশমন তাহাদের উপর
আগেই এসেআক্রমণ করে বসতে পারে। তাই সে উচ্চঃস্বরে
বলে সতর্ক করতে লাগল। (সহীহ বুখারী)

অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, যখন
অর্থঃ ‘তুমি তোমার নিকটাত্মীয়দিগকে সতর্ক কর’ নাযিল হইল, তখন নবী
সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম কুরাইশদিগকে ডাক দিলেন। তাহারা
সমবেত হইল। তিনি ব্যাপকভাবে এবং বিশেষ বিশেষ গোত্রকে ডাক দিয়া
সতর্কবাণী শুনাইলেন। তিনি বলিলেনঃ হে কা’ব ইবনে লুয়াইর বংশধর!
তোমরা নিজেদেরকে দোযখের আগুন হইতে বাঁচাও! হে মুররা ইবনে
কা’বের বংশধর! তোমরা নিজেদেরকে দোযখের আগুন হইতে বাঁচাও! হে
আবদে শামসের বংশধর! তোমরা নিজেদেরকে দোযখের আগুন হইতে
বাঁচাও! হে আবদে মানাফের বংশধর! তোমরা নিজেদেরকে দোযখের
আগুন হইতে বাঁচাও! হে হাশেমের বংশধর! তোমরা নিজেদেরকে
দোযখের আগুন হইতে বাঁচাও! হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধর! তোমরা
নিজেদেরকে দোযখের আগুন হইতে বাঁচাও! হে ফাতেমা! তুমি তোমার
নিজেকে দোযখের আগুন হইতে বাঁচাও! কেননা, আল­াহর আযাব হইতে
রক্ষা করিবার ক্ষমতা আমার নাই। তবে তোমাদের সহিত আত্মীয়তার
সম্পর্ক আাছে, তা আমি (দুনিয়াতে) সদ্ব্যবহার দ্বারা সিক্ত করব। -মুসলিম
বুখারী ও মুসলিমের যৌথ বর্ণনায় আছে, নবী সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া
সাল­াম বললেনঃ হে কুরাইশ সম্প্রদায়! (আমার উপরে ঈমান এনে)
তোমাদের জানকে খরিদ করে নেও (অথার্ৎ দোযখের আগুন হইতে
আত্মরক্ষা কর)। আমি তোমাদের হইতে আল­াহর আযাব কিছুই দূর
করিতে পারিব না। হে আবদে মানাফের বংশধর! আমি তোমাদের উপর
হইতে আল­াহর আযাব কিছুই দূর করিতে পারিব না। হে আব্বাস ইবনে
আব্দুল মুত্তালিব! আমি তোমার উপর হইতে আল­াহর আযাব কিছুই দূর
করিতে পারিব না। হে রাসূলুল­াহর ফুফী সাফিয়্যা! আমি তোমাকে
আল­াহর আযাব হইতে বাঁচাইতে পারিব না। হে মুহাম্মদের কন্যা ফাতেমা!
আমার কাছে দুনিয়াবী মাল-সম্পদ হইতে যাহা ইচ্ছা তাহা চাইতে পার,
কিন্তু আমি তোমাকে আল­াহর আযাব হইতে রক্ষা করিতে পারিব না। তিনি
আরও ঘোষণা করেনঃ

অর্থ: “যদি তোমরা একটি কথা মেনে নাও তাহলে তোমরা গোটা আবর
বিশ্বের মালিক বনে যাবে এবং অনারব বিশ্ব হয়তো তোমাদের দ্বীন গ্রহণ
করবে নতুবা তোমাদের (কর) দিয়ে থাকবে।”
তখন সকলেই বলে উঠলো, এতো দার“ন সু-খবর, জলদি বলো সে কথাটি
কি? এবারে রাসূল সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম তার ঐতিহাসিক
ঘোষণা দিলেন, যার মাধ্যমে কাফির-মুশরিক ও মুসলিমদের মাঝে পার্থক্য
সুস্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি বললেনঃ
অর্থ: “ওহে মানবজাতি, তোমরা ঘোষণা কর যে, আল­াহ ছাড়া আর কোন
ইলাহ নাই, মাবুদ নাই, তোমরা শুধুমাত্র তারই ইবাদত করবে। তাকে বাদ
দিয়ে তোমরা যাদের ইবাদত করছো তাদের ত্যাগ করবে, সঙ্গে সঙ্গে আবু
লাহাবরা ক্ষেপে গেল। তারা বললোঃ
তোমার গোটা জীবন ধ্বংস হোক, তুমি কি আমাদের এজন্য জমা
করেছো?
মক্কার লোকেরা এই যে কালিমার বিরোধীতা করেছিলো, এটা কিন্তু তারা
জেনে বুঝেই করেছিলো। তারা বুঝতে পেরেছিলো যে এই কালিমা গ্রহণ
করলে তাদের মনগড়া আইন-কানুন দ্বারা সমাজ পরিচালনা আর তাদের
খেয়াল-খুশি মতো চলার দিন শেষ হয়ে যাবে। এটা এমন এক দাওয়াত
যেখানে সকল ইচ্ছা-স্বাধীনতাকে এক আল­াহর সামনে সমর্পন করতে বলা
হচ্ছে, তার সকল আইন-কানুন মেনে নিতে আহ্বান করা হচ্ছে। তাই
তারা বুঝে শুনে কালিমার একত্ববাদ ও আল­াহর স্বার্বভৌমত্বের বিপক্ষে
অবস্থান নিলো। আবূ লাহাব আরও বললোঃ
অর্থ: “তবে কি সে সকল ইলাহগুলোকে এক ইলাহতে কেন্দ্রীভূত করে
ফেলল? এতো অত্যন্ত আজব কথা।” (সোয়াদ, ৩৮ঃ ৫)
অর্থাৎ মুহাম্মাদ আমাদের সকল ইলাহকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। সব
ইলাহের স্থলে এক আল­াহকে বসাতে চাচ্ছে। এটা মানা সম্ভব নয়, কেননা
তাহলে আমাদের সকল ক্ষমতা ও স্বেচ্ছাচার বন্ধ হয়ে যাবে।
সুতরাং বুঝা গেলো এখানেই পার্থক্য। ইসলাম বলে এক আল­াহই সব
কিছুর মালিক। কাফিররা বলে আল­াহও আছেন, আবার অন্য শরীকও
আছে। সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল­াহকে মানবো, আবার আইন প্রণেতা
আমরাই থাকবো। দেব-দেবীরও উপাসনা করবো। এজন্য আব্দুল
মুত্তালিবের এক ছেলের নাম ছিলো আব্দুল­াহ, অপর ছেলের নাম ছিলো
আব্দুশ শামস। সূর্যের গোলাম। আব্দুল উজ্জা -উজ্জার গোলাম। তাই
দেখা যায় যে, হিন্দুরা আল­াহকেও মানে আবার ৩ কোটি দেবতাকেও
মানে। ইসলাম বলে এটাই কুফর। এটাই হলো মুসলিমদের সাথে
অমুসলিমদের পার্থক্য। ইসলাম বলে পূর্ণাঙ্গভাবে এক আল­াহকেই মানতে
হবে। এটা হলো প্রথম পার্থক্য। আল­াহর উলুহিয়্যাত বা ইলাহ হওয়ার
ক্ষেত্রে অন্য কাউকে শরীক করা যাবে না।
আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে, আল­াহর স্বার্বভৌমত্বকে মেনে নেয়ার পর তার
আইন অনুযায়ী চলা। তার সকল আইন-কানুন মেনে নেয়া। এটাই হলো
স্বার্বভৌমত্বের কমান্ড ফলো করা। আমাদের দেশের সংবিধানের ৭ এর ক
ধারায় বলা হয়েছে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। তাই জনগণ এই
গণতান্ত্রিক সিস্টেমে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি এমপি দেরকে সংসদে
পাঠায়। তারা সংসদে গিয়ে জনগণের জন্য নিজেরা আইন তৈরী করে।
পক্ষান্তরে একজন মুসলিম যখন আল­াহর স্বার্বভৌমত্বকে মানবে তখন
তার জন্য আবশ্যক হলো আল­াহর কমান্ড বা আইন মানা। তাহলেই সে
রব হিসেবে আল­াহকে স্বীকৃতি দিলো। যদি আল­াহর কমান্ড বা আইন না
মানে তাহলে সে হবে শয়তানের মতো। শয়তান আল­াহর স্বার্বভৌমত্বকে
মেনেছে, কিন্তু তার আইন অমান্য করেছে। আল­াহর নির্দেশের
বির“দ্ধাচারণ করেছে। শয়তান আল­াহর সব হুকুম অমান্য করেছে তাও
নয়, একটি মাত্র আদেশের বির“দ্ধাচারণ করেছে সে। আপনারা হয়তো
মনে করবেন যে, আমরা তো মূর্তি পুজা করি না। মক্কার লোকেরা মূর্তি
পূজা করতো আল­াহকে পাওয়ার জন্য। যেমন কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,
অর্থ: “জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত আল­াহ্রই নিমিত্ত। যারা আল­াহ্
ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা
তাদের ইবাদত এ জন্যেই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল­াহ্র
নিকটবতর্ী করে দেয়। নিশ্চয় আল­াহ্ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক
বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন। আল­াহ্ মিথ্যাবাদী কাফেরকে
সৎপথে পরিচালিত করেন না। (যুমার, ৩৯ঃ ৩)

আজকে আমাদের দেশে কবর পূজা ও মাজার পূজা হচ্ছে। রাস্তার
মোড়ে মোড়ে ভাস্কর্য্যের নামে মূর্তি লাগানো হচ্ছে। মানুষ তার সামনে
গিয়ে ফুল দিচ্ছে, নীরবতা পালন করছে। মক্কার লোকেরা তো আল­াহকে
পাওয়ার জন্য এগুলো করতো, আমাদের সমাজের লোকেরা তো এমনিই
করছে। সুতরাং এটিতো আরো ভয়াবহ।
আজকে বিভিন্ন মাজারে সিজদা করা হচ্ছে, মানত করা হচ্ছে, টাকা-পয়সা
দেয়া হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির নামে দোয়া করা হচ্ছে। কবরে যেই সকল লোক
আছেন আমি তাদের কথা বলছি না। তারা অনেকেই এগুলোর বিপক্ষে
ছিলেন। কিন্তু আজকে আমরা অনেকেই এগুলোকে ইবাদত হিসেবে গ্রহণ
করে নিয়েছি।
এখানে জওহর লাল নেহের“র একটি কথা উলে­খ করার মতো, তিনি যখন
আজমীরে গিয়ে দেখলেন যে সেখানে মুসলমানরা মাজারে সিজদা করছে,
পূজা করছে তখন হাসলেন এবং হেসে বললেন, “আসলে হিন্দু আর
মুসলমানদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। হিন্দুরাও বড় বড়
আল­াহওয়ালাদের পুজা করে, মুসলমানরাও করে। পার্থক্য হচ্ছে হিন্দুরা
মূর্তি তৈরী করে মূর্তির পূজা আর মুসলমানরা করে মৃত লাশের পূজা।
আজকে আপনি যদি সিলেট যান তাহলে দেখবেন সেখানে মুসলমানরা
গজার মাছের পূজা করছে। গজার মাছের ময়লা খাচ্ছে। যদি চ“গ্রাম জান
সেখানে দেখবেন তারা কচ্ছপের পূজা করছে। তাদের ময়লা খাচ্ছে। যদি
বাগেরহাটে খানজাহান আলীর মাজারে যান তাহলে সেখানে দেখবেন
মুসলমানরা কুমিরের পূজা করছে। তার ময়লা খাচ্ছে। কুমিরকে মুরগী
দিচ্ছে। যদি কুমির কারো মুরগী না খায় তাহলে সে কান্না করছে, যে হায়
আফসোস আমার মুরগী কবুল হয়নি।
ও মুসলিম সম্প্রদায়! তোমাদের কি হলো, সেই মক্কার মুশরিকদের সাথে
আর তোমাদের পার্থক্য কি হলো? বুঝা গেলো শুধু কালিমা পড়লেই
মুসলমান হওয়া যায় না, জীবনের সর্বক্ষেত্রে শিরকমুক্ত এক আল­াহকে
গ্রহণ করার মাধ্যমেই মুসলিম হতে হয়। কিন্তু দু:খ হলো আজকে
মুসলমানরা এই কালিমা ও লা ইলাহা ইল­াল­াহ এর ব্যাখ্যা জানে না। লা
ইলাহা ইল­াল­াহ কয়টি অংশ তা মুমিনদের জানা নেই। লা ইলাহা
ইল­াল­াহর শর্ত কি, রোকন কি তাও জানা নেই।
নবীগণ কিভাবে দাওয়াত দিয়েছিলেন এই কালিমার বিস্তারিত নিয়ে
ইনশাআল­াহ সামনে আলোচনা করা হবে।

জুমার বয়ান। তারিখ : ০৪-০৯-২০০৯
স্থান : হাতেম বাগ জামে মসজিদ, ধানমন্ডি ঢাকা।

Previous
Next Post »