ফিকহের বক্তব্য বিশ্বের যে কোন স্থানে সর্ব প্রথম চন্দ্র দর্শনের সকল দেশের জন্য ১ তারিখ গণ্য করে সে অনুযায়ী সাওম, ঈদ, কুরবানী ও চাঁদের তারিখ নির্ভর সকল ইসলামী ইবাদাত সমগ্র বিশ্বে একই দিনে উদযাপন সম্পর্কিত ফিকহী দলীল হলাে: ভৌগলিক কারণে চন্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ কখনই প্রথম দিন সারা পৃথিবী থেকে দেখা যায় না বরং সমগ্র পৃথিবীতে নুতন চাঁদ দেখা যেতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লেগে যায়। এখন প্রশ্ন হল প্রথম দিন ভূ পৃষ্ঠের যে সব দেশে নুতন চাঁদ দেখা গেল ঐ সব দেশে চন্দ্র মাসের ১ তারিখ, আবার ২য় দিন যেসব দেশে চাঁদ দেখা গেল সে সব দেশে নুতন করে ২য় ১ তারিখ, আবার ৩য় দিন যেসব দেশে চাঁদ দেখা গেল সেসব দেশে নুতন ৩য় ১ তারিখ গণনা করা হবে? অর্থাৎ নুতন চাঁদ দেখার বিভিন্নতায় একই চান্দ্রমাসের ভিন্ন ভিন্ন তিনটি ১ তারিখ হবে? নাকি প্রথম দিনের দেখার ভিত্তিতেই সমগ্র পৃথিবীতে বিশ্ব জনীন (Universal) একটি তারিখ গণনা হবে? যাকে ফিকহের পরিভাষায়-U 3। অর্থাৎ চাঁদ উদয়স্থলের বিভিন্নতা গ্রহণযােগ্য হবে কিনা? বলা হয় । এখন J u। অর্থাৎ চাঁদ উদয়স্থলের বিভিন্নতা গ্রহনযােগ্য হবে কি হবে ? এটাই মূল প্রশ্ন।
এ প্রশ্নের জবাবে পবিত্র ইসলাম ধর্মের ১৪৩৩ বছরের এ সুদীর্ঘ সময়কালে রচিত সকল ফিকহ গ্রন্থে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে যে, হানাফী, হাম্বলী, মালেকী মাযহাবের ঐক্যমতে এবং শাফেয়ী মাযহাবের একদলের মতে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সমগ্র পৃথিবীর জন্য ঐ চাঁদ চান্দ্র মাসের ১ তারিখ নির্ধারণ করবে এবং ঐ দিন থেকেই সমগ্র পৃথিবীতে বিশ্ব জনীন ১ তারিখ গণনা শুরু হবে। ফলে সমগ্র পৃথিবীতে একই দিনে রােযা, ঈদ, কুরবানী, আইয়্যামে তাশরীক সহ চন্দ্র মাসের তারিখ নির্ভর সকল ইসলামী ইবাদাত পালিত হবে। নিম্নে প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের নির্ভরযােগ্য ফিকহ গ্রন্থের তথ্য সমুহ দ্বারা এটা প্রমান করা হলাে:
হানাফী ফিকহের বক্তব্য (১) আলােচিত বিষয়ে হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফিকহ গ্রন্থ ফাতওয়া-ই- শামী-এর সিদ্ধান্ত হচ্ছে
وإنما الخلاف في اعتبار اختلاف المطالع بمعنى أنه هل يجب على كل قوم اعتبار مطلعهم، ولا يلزم أحدا العمل بمطلع غيره، أم لا يعتبر اختلافها بل يجب العمل بالأسبق رؤية حتى لو رئي في المشرق ليلة الجمعة، وفي المغرب ليلة السبت وجب
على أهل المغرب العمل بما رآه أهل المشرق؟ فقيل بالأول، واعتمده الزيلعي
وصاحب الفيض، وهو الصحيح عند الشافعية لان كل قوم مخاطبون بما عندهم،
كما في أوقات الصلاة، وأيده في الدرر بما مر من عدم وجوب العشاء والوتر على فاقد وقتها، وظاهر الرواية الثاني، وهو المعتمد عندنا وعند المالكية والحنابلة لتعلق الخطاب عاما بمطلق الرؤية في حديث: صوموا لرؤيته بخلاف أوقات الصلوات
অর্থ: “চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে কিনা? এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। এ ভাবে যে, প্রত্যেক দেশের মানুষ নিজ নিজ দেখার ভিত্তিতে আমল করবে? না কি উদয়স্থলের ভিন্নতা গ্রহণযােগ্য হবে না বরং সর্ব প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সকলের জন্য আমল করা জরুরী হবে? এমনকি প্রাচ্যে যদি জুমার রাতে চাঁদ দেখা যায় আর পাশ্চাত্যে শনিবার রাতে চাঁদ দেখা যায় তবে পাশ্চাত্যের অধিবাসীদের উপর প্রাচ্যের দেখা অনুযায়ী আমল করা ওয়াজিব? বিষয় কেউ কেউ প্রথম মতটি গ্রহণ করেছেন (অর্থাৎ এক দেশের চাঁদ দেখা অন্য দেশের মানুষের জন্য গ্রহনীয় নয়)। ইমাম যায়লায়ী ও ফয়েজ গ্রন্থের প্রণেতা এ মতটি গ্রহণ করেছেন। শাফেয়ী মাযহাবের মতও এটা । তাদের যুক্তি হল চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশীয় লােক সালাতের ওয়াক্তের মতই নিজ এলাকা বিশেষে সম্বোধিত। যেমন যে অঞ্চলে এশা ও বিতরের ওয়াক্ত হয়না সেখানে এশা ও বিতর সালাত আদায় করতে হয়না। আর সুপ্রতিষ্ঠিত মত হচ্ছে দ্বিতীয়টি অর্থাৎ চাঁদ দেখার ভিন্নতা গ্রহনীয় নয়। বরং প্রথম দিনের দেখার দ্বারাই সমগ্র পৃথিবীতে এক কেন্দ্রিক তারিখ গণনা করে, একই দিনে একই তারিখে আমল করতে হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের সিদ্ধান্ত। মালেকী এবংহাম্বলী মাযহাবের মতও এটা। তাদের দলীল হচ্ছে আয়াত ও হাদীসে চাঁদ দেখার সম্বাধন সকলের জন্য আম বা সার্বজনীন যা সালাতের ওয়াক্তের সম্বােধন থেকে আলাদা।” (ফাতওয়া-ই-শামী, খণ্ড:২, পৃ:৪৩২)
(২) হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব ফাতওয়া-ই-আলমগীরির সিদ্ধান্ত
হলাে:
ولا عبرة باختلاف المطالع في ظاهر الرواية كذا في فتاوى قاضي خان . وعليه فتوى الفقيه أبي الليث وبه كان يفتي شمس اللمة الحلواني قال لو رأى أهل مغرب هلال رمضان يجب الصوم على أهل مشرق كذا في الخلاصة
অর্থ: “ফিকহের প্রতিষ্ঠিত বর্ণনানুযায়ী চাঁদ উদয়ের বিভিন্নতা গ্রহণীয় নয় । ফতোয়ায়ে কাযী খান ফতোয়া অনুরুপ। ফকীহ আবুল লাইছ এমনটাই বলেছেন। শামছুল আইম্মা হালওয়ানী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, যদি পাশ্চাত্যবাসী রমযানের চাঁদ দেখে তবে সে দেখার দ্বারা প্রাচ্য বাসীর জন্য সাওম ওয়াজিব হবে। এমনটাই আছে খােলাছা নামক কিতাবে। (ফাতওয়া-ই- আলমগিরী, খন্ড:৫, পৃ:২১৬)
(৩) হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব "ফতহুল কাদির"-এর ভাষ্য হচ্ছে:
وإذا ثبت في مصر لزم سائر الناس قيوم أهل المشرق برؤية أهل المغرب في ظاهر المذهب
অর্থ: "যখন কোন শহরে চাঁদ দেখা প্রমাণিত হবে, তখন সকল মানুষের উপর সাওম রাখা ফরয হবে । ফিকহের প্রতিষ্ঠিত মাযহাব অনুযায়ী পাশ্চাত্য বাসীর চাঁদ দেখার দ্বারা প্রাচ্য বাসীর জন্য সাওম রাখা ফরয হবে।”
(ফাতহুল কাদীর, খন্ড:৪, পৃ:২১৯ চাঁদ দেখার অধ্যায়)
(৪) প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "তাবয়ীনুল হাকায়েক”-এর ভাষ্য হচ্ছে:
قال رحمه الله ( ولا عبرة باختلاف المطالع ) وقيل يعتبر ومعناه أنه إذا رأی الهلال أهل بلد ولم يرة أهل بلدة أخرى يجب أن يصوموا برؤية أولنك كيفما كان على قول من قال لا عبرة باختلاف المطالع وعلى قول من اعتبره ينظر فإن كان بينهما تقارب بحيث لا تختلف المطالع يجب وإن كان بحيث تختلف لا
يجب وأكثر المشايخ على أنه لا يعتبر حتى إذا صام أهل بلدة ثلانين يؤما وأهل بلدة أخرى تسعة وعشرين يوما يجب عليهم قضاء يوم
অর্থ: "অত্র গ্রন্থের প্রণেতা (র:) বলছেন যে, চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়। যদিও কেউ চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন। ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়” এর অর্থ হচ্ছে যদি এক দেশের অধিবাসীরা নুতন চাঁদ দেখেন এবং অন্য দেশের অধিবাসীরা না দেখেন তবে প্রথম দেশবাসীর দেখা দ্বারাই অন্য দেশবাসীদের জন্য সাওম রাখা ফরয হবে । অধিকাংশ মাশাইখ-ই এমত পােষণ করেছেন। এমনকি এক দেশের মানুষ ৩০টি সাওম রাখল, অন্য দেশের মানুষ সাওম রাখল ২৯টি, তাহলে অন্যদেরকে খন্ড-২, পৃঃ-১৬৪/১৬৫) একটি সাওম কাযা করতে হবে।” (তাবয়ীনুল হাকায়েক,
(৫) হানাফী ফিকহের বিখ্যাত গ্রন্থ আল বাহরুর রায়েক এর ভাষ্য হচ্ছে:
ولا عبرة باختلاف المطالع( فإذا رآأهل بلدة ولم يره أهل بلدة أخرى وجب عليهم أن يصوموا برؤية أولئك إذا ثبت عندهم بطريق موجب ويلزم أهل المشرق
برؤية أهل المغرب. وقيل يعتبر فلا يلزمهم برؤية غيرهم إذا اختلف المطلع وهو
الاشبه، كذا في التبيين، والاول ظاهر الرواية وهو الاحوط. كذا في فتح القدير وظاهر المذهب وعليه الفتوى كذا في الخلاصة
অর্থ: “চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়। অতএব যখন এক দেশের মানুষ চাঁদ দেখবে, তখন অন্য দেশের মানুষের জন্য সাওম রাখা ফরয হবে, যদিও তারা চাঁদ দেখেনি। যদি তাদের নিকট গ্রহণযােগ্য পদ্ধতিতে চাঁদ দেখার সংবাদ পৌছে যায়। অতএব পাশ্চাত্যবাসীর দেখার দ্বারা প্রাচ্যবাসীর জন্য সাওম রাখা অত্যাবশ্যক হবে। যদিও কেউ কেউ বলেন উদয় স্থলের বিভিন্নতা গ্রহণযােগ্য। একের দেখা অন্যের জন্য প্রযােজ্য নয়। তবে ফিকহের প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্ত হচ্ছে প্রথমটি। এমনটাই লেখা হয়েছে ফতহুল কাদির গ্রন্থে। সেখানে বলা হয়েছে এটাই প্রকাশ্য মাযহাব এবং এর উপরই ফাতওয়া। খােলাছা নামক কিতাবের ভাষ্যও তাই । (আল বাহরুর রায়েক, খন্ড-২, পৃঃ-৪৭১)
(৬) "ফাতওয়া-ই-কাযীখান"-এর ভাষ্য হচ্ছে-
وعبر اختلا المعالم في نظام البيئة زکاذکرشمسي ة الحلو وجه الله
অর্থ: ফিকহের সুপ্রতিষ্ঠিত মতানুসারে চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়। শামসুল আইম্মা হালওয়ানী (র:) এ মতই উল্লেখ করেছেন।
(৭) প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "হাশিয়া-ই-তাহতাবীর ভাষ্য হচ্ছে:
ويشترط في الثبوت الخ" لو قال المصنف بدل قوله وهلال الأضحي كالفطر وجميع
الأهل كالفطر لاستغني عن هذه الجملة "ومطلع قطرها الأولى أن يقول وإذا ثبت الهلال في مطلع قطر الخ قوله: الزم سائر الناس" في سائر أقطار الدنيا إذا ثبتت عندهم الرؤية بطريق موجب كان يتحمل اثنان الشهادة أو يشهدا على حكم القاضي أو يستفيض الخبر بخلاف ما إذا أخبر أن أهل بلدة كذا رواه لأنه حكاية 1 ه قوله: "صوموا لرؤيته" بدل من الخطاب فإنه علق الصوم بمطلق الرؤية وهي حاصلة برؤية قوم فيثبت عموم الحكم احتياطا
অর্থ: ঈদুল আযহাসহ সকল মাসের চাঁদের হুকুম শাওয়ালের চাঁদের হুকুমের মতােই। কোন উদয় স্থলে চাঁদ দেখা গেলে দুনিয়ার সকল স্থানের মানুষের উপরই আমল জরুরী হবে। যদি চাঁদ উদয়ের সংবাদ পৌছে দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্যে, অথবা কাযীর ফয়সালার উপরে দুইজন সাক্ষ্য দেন, অথবা উদয়ের সংবাদটি ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করে।” (হাশিয়া-ই-তাহতাবী, পৃ-৩৫৯)
(৮) “মাআরিফুস সুনান-এর ভাষ্য হচ্ছে
في عامة كتبنا الزوم ولو كان بين البلدتين بعد المشرقين ، ويلقبون هذه المسألة بقولهم : لا عبرة باختلاف المطالع، وذكروا أن في المواقيت ووقت الفطر لاختلافها عبرة كما في رد
المحتار
অর্থ: “আমাদের মাযহাবের কিতাব সমুহের উপর ভিত্তি করে আমরা লিখেছি যে, এক দেশের চাঁদ দেখা অন্য দেশে গ্রহণীয় হবে। যদিও দেশ দুটির মধ্যে মাগরিব ও মাশরিকের দূরত্ব হয়। আর এ মাসআলা ফকীহগণের এ নীতিমালার উপর ভিত্তি করে যে চাঁদ উদয়স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে না। তবে ফকিহগণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, সালাত ও ইফতারের ওয়াক্ত সমূহের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে এবং যার যার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সালাত পড়বে ও ইফতার করবে।” (মায়ারিফুস সুনান, খন্ড-৫, পৃঃ ৩৩৭)
(৯) উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র "দারুল উলুম দেওবন্দ"-এর গ্রান্ড মুফতি আযিযুর রহমান সাহেব ফতােয়া-ই-দারুল উলুম দেওবন্দ-এ লিখেছেন
الجواب أن من ان اتاشی، ای ی از ودم الا و دراضو ی حساپ ر دکاتودی نتی دا وا ی یادای روز پیک تا کیں.
অর্থ: “হানাফী মাযহাব মতে চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহনীয় নয়। যদি কোন স্থানে শাবান মাসের ২৯ তারিখে রমযানের চাঁদ দেখা যায় এবং শরয়ীভাবে তা প্রমাণিত হয় তখন ঐ হিসেবেই সকল স্থানে সাওম রাখা অপরিহার্য হয়ে যাবে। যে স্থানের লােকেরা সংবাদ পরে পাওয়ার কারণে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করে সাওম শুরু করেছে তারাও প্রথমদের সঙ্গে
ঈদ করবে এবং প্রথমের একটি সাওম কাযা করবে।” (ফাতওয়া-ই-দারুল উলুম দেওবন্দ, খন্ড-৬, পৃঃ-৩৯৮)
ঈদ করবে এবং প্রথমের একটি সাওম কাযা করবে।” (ফাতওয়া-ই-দারুল উলুম দেওবন্দ, খন্ড-৬, পৃঃ-৩৯৮)
(১০) জামে তিরমীযি-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ মাআরিফুল মাদানিয়্যাহ গ্রন্থে আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) একই কথা লিখেছেন। যা নিম্নরূপ:
/ اعلام نام لکھے ہی نفس خیران مطابع میں کوئی اختلاف نہیں ہے بلکہ وہ حقیقت ہے اختلاف اس با میں ک ان ما ال رمضان ای باس ی ی متب ابی پ ا میک معتبر ہے اور ہر قوم کو اپنے مطلع کے مطابق عمل کرنا ضروری ہے ایک قوم کا مطلع دوسروں پر لازم نہیں اسی بنا پر جہاں عشا کا وقت نہیں ہوا وہاں شار اور وتر کی نماز واجب نہیں۔ دوسرا قول یہ ہے کہ اختلاف مطالع معتبر نہیں ہی ظاہر روایت درای ا ین تت ا ایک تای پاس انان و د ات ریان اخران ما وای ار یات ہے کہ ہمیز ۲۹ دن سے کم اور اس دن سے زائد نہیں ہوتا، امنا جہاں اس کے خلاف لازم آئے اس پرعمل نہیں کیا جا سکتا کیونکہ ۲۵ یا اس دن کا مہینہ لازم آتا ہے شای ينصیل رمضان اور عید کے بارے میں ہے۔ باقی ماز وغیرہ کے بارے میں سب کا اتفاق ہے کہ اختلان مطالع اور ہر بستی کے لوگ اپنے مطلع کے اعتبار سے نماز رانفطار وغیرہ پریل کریگے
অর্থ: “আল্লামা শামী (রঃ) লিখেছেন যে, চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতার বিষয়ে কোন মতবিরােধ নেই। কারণ চাঁদ ভিন্ন ভিন্ন দিনে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে দেখা যাবে এটাই ভৌগালিক নিয়ম। মতবিরােধ কেবল এ ব্যাপারে যে, চাঁদ উদয় স্থলের এ ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে কি হবে না? এ ক্ষেত্রে কিছু সংখ্যক হানাফী আলেমের মতে চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে এবং প্রত্যেক দেশীয় মানুষ নিজ উদয় স্থল অনুযায়ী আমল করবে। এক দেশের চাঁদ দেখা অন্য দেশের জন্য জরুরী নয়। তাদের এ মত ফিকহের এ মূল নীতির উপর ভিত্তি করে যে, যে জনপদে এশার ওয়াক্ত হয়না অন্য জনপদের ওয়াক্ত অনুযায়ী সেখানে এশা এবং বিতর সালাত ওয়াজিব নয়। দ্বিতীয় মত এই যে, চাঁদ উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণযােগ্য নয়। এটাই ফিকহের প্রতিষ্ঠিত মত। হানাফী, মালেকী এবং হাম্বলী মাযহাবের নিকট এটাই গ্রহণীয় তবে যদি দুই দেশের মধ্যে এতটাই দূরত্ব হয় যে যাতে তারিখ একদিন বা দুইদিন বেশী-কম হয়ে যায় তবে এরকম দুই দেশেরমধ্যে চাঁদ উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে। কেননা হাদিসে প্রকাশ্য ভাবে বলা হয়েছে মাস ২৯দিনের কম এবং ৩০দিনের চেয়ে বেশী হবেনা। অতএব, যে ক্ষেত্রে হাদিসের ভাষ্যের বিরােধী বিষয় জরুরী হয়ে পড়ে তার উপর আমল করা যাবেনা। এই ব্যাখ্যা সাওম ও ঈদের ক্ষেত্রে। বাকী নামায ও অন্য সব ইবাদত যেমন সাহরী ইফতার-এর ক্ষেত্রে সর্ব সম্মত মতে উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে। এবং প্রত্যেক দেশীয় লােক নিজ নিজ উদয় স্থলের ভিত্তিতে নামায আদায় করবে এবং ইফতার ও সাহরী গ্রহণ করবে।” (মায়ারিফুল মাদানিয়্যাহ, খন্ড-৩, পৃঃ-২৩)।
(১১) একই কথা লিখেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও মুফতি আব্দুল কাবী মুলতানী (রহঃ) তার রচিত ছিহাহ ছিত্তা এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ “মিফতাহুন নাজাহ কিতাবে। যার ভাষ্য নিম্নরূপ-
م بونی ، مالت، مندب حب ام لیث بن مهری » مارٹنی عبدالبا بالات رین روا ہیں اور رفتار کو صوم رمضان کے لئے مسلک ہے جب کسی کی کر جا ن دیدی ب بستی باہ میں رویت بالا ہو جائے تو دنیا کے تم دوسرے شہروں میں وہی روی معہ مولی کی طل طال که با اعتبار تواصل مشرق کے لئے ان کی رگری جز ہے یا کہ ان حضرات کے نزدیک اس تمام صورت میں اختلاف نہیں کہ روئے زمین کے بل متال ور ناقابلہ ایک علم و فن کے شمار ہوں گے اور ساری زمین بردار کی طرح ہیں اور ان پر نذر کے کا اسکی روی بعد از شدت شری به میان روئے زمین کے لیے مطلعا جنت اور بال سفید ہوری روایا مقامات میں اتنا ہی فیصر کیوں ہو؟ یہاں تک کہ میری اور ایک میں رہنے والے باشندگان نیرویستها پاکستان اور شمال مشرق لبدی روزه لازم ہوجائے گا
অর্থ: “ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল, ইমাম লাইছ ইবনু সাদ আল মিশরী, অধিকাংশ ফকিহগণ এবং ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার এক মতে রমযানের সাওমের ক্ষেত্রে এই রায় দিয়েছেন যে, যখন কোন এক জনপদে চাঁদ দেখা প্রমাণিত হবে তখন দুনিয়ার অন্য সকল জনপদে ঐ দেখা গ্রহণীয় হবে। এমনকি পাশ্চাত্য অধিবাসীগণ চাঁদ দেখলে প্রাচ্যের অধিবাসীদের জন্যে ঐ দেখা দলীল হবে। এ সকল ইমামগণের নিকট রমযানের সাওমের ক্ষেত্রে চাঁদ উদয় স্থলের ভিন্নতা মােটেই গ্রহণীয় নয়। বরং সমস্ত পৃথিবী এবং সকল উদয় স্থল এক উদয়স্থল হিসেবে গণ্য হবে। এবং সমগ্র পৃথিবী একটি দেশের মতই গন্য হবে। যেখানেই প্রথম চাঁদ দেখা যাবে উক্ত দেখা শরয়ী পদ্ধতিতে অন্যদের নিকট পৌছলে তার ভিত্তিতে সকলের জন্য আমল করা জরুরী হবে। উক্ত দুই দেশের মধ্যে যতই দূরত্ব হােকনা কেন। এমন কি যদি অষ্ট্রেলিয়া বা আমেরিকার অধিবাসীগণ চাঁদ দেখেন তাহলে ঐ দেখার দ্বারা পাকিস্তান এবং দূর প্রাচ্যবাসীর উপর সাওম রাখা জরুরী হবে।” (মিফতাহুন নাজজাহ,খন্ড-১, পৃঃ-৪৩২)
(১২) একই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাচীন ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাট হাজারী মাদরাসার শাইখুল হাদীস আল্লামা হাফেজ আবুল হাসান সাহেব তার রচিত মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ তানযীমুল আশতাত। যার ভাষ্য নিমে উদ্ধৃত হল
في الشام والعلم عندنا وعناد کرد اما در بحرین اور عدم اعتباران مطالعام علم کی فا روایت میں جا لقروت سا اس سے سب برکلی لازم ہوگا۔ ہے۔ اب مطلق ردیتے ہیں اور
অর্থ: “চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা ইমাম আবু হানিফা (র:) এর নিকট গ্রহণীয় নয়। ফাতওয়ায়ে শামী কিতাবে এমনটাই রয়েছে। এটাই আমাদের (হানাফীদের) রায়। মালেকী ও হাম্বলী মাযহাবের মতও এটা। অতএব, কোন স্থানে চাঁদ দেখা প্রমাণিত হলে সর্বত্রই আমল অত্যাবশ্যকীয় হবে। (তানযীমুল আশতাত, খন্ড-১, পৃঃ-৪১)
(১৩) উপমহাদেশের প্রখ্যাত হানাফী আলেম রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহ:)-এর ভাষ্য নিম্নরূপ
بواب در استان مساله مهم در انظاری را روایت میں موت نہیں منی کی روایت عزب والوں میزابت رمادے گی اگرت شرعیہ سے ثابت کرنے گرا
অর্থ: “ফিকহের প্রতিষ্ঠিত মতানুসারে সাওম রাখা ও ঈদ করার ব্যাপারে চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়। প্রাচ্য বাসীর দেখা দ্বারাই পাশ্চাত্য বাদীর উপর আমল জরুরী হবে। (ফাতওয়া-ই-রশিদিয়া, পৃ-৪৩৭)
(১৪) উপমহাদেশের প্রখ্যাত হানাফী আলেম আশরাফ আলী থানভী (রহ:) এর ভাষ্য নিম্নরূপঃ
ہو یا ان کا دوسرے مردوں کی جنت ہے۔ ان دونوں ہوں میں نام نام کیوں نوری که از مل ابدا مری میں چاند کیا ہے اور کی بیماری سے انتہاے مشرق کی ہے اور کانپ جائے ان پراندن کارزه
অর্থ: “এক শহরের চাঁদ দেখা অন্য সকল শহর বাসীদের জন্য গ্রহণীয় হবে। ঐ শহরগুলাের সঙ্গে চাঁদ দেখা শহরের যত দুরত্বই হােকনা কেন। এমনকি সর্ব পশ্চিমের চাঁদ দেখার সংবাদ সর্ব পূর্বের মানুষের নিকট গ্রহণযােগ্য পদ্ধতিতে পৌছলে ঐ দিনই তাদের উপর সাওম রাখা ফরয হবে।" (বেহেশতি- জেওর, খন্ড-১১, পৃঃ-৫১০)
(১৫) উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ বিদআতী আলেম আহমদ রেজা খান বেরলভী এর ভাষ্য নিম্নরূপঃ
ا انا انا ات طرب والوں پرتنے والی آن در کار کردی که بود و به ایران باستان
অর্থ: “আমাদের মাযহাবের ইমামগণের বিশুদ্ধ ও প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্ত এই যে, রমযান ও ঈদের ক্ষেত্রে দুই দেশের দুরত্ব কোন ভাবেই গ্রহণীয় নয়। বরং পদের ক্ষেত্রে প্রাচ্যের প্রাচ্যের চাঁদ দেখা পাশ্চাত্যের জন্য দলীল হবে। এমনি করে পাশ্চাত্যের চাঁদ দেখা প্রাচ্যের জন্য দলীল হবে। তবে শর্ত হল শরয়ী পদ্ধতিতে সংবাদ পৌছাতে হবে। (ফাতওয়া-ই-রাজাবিয়্যাহ, খন্ড-৪,পৃঃ-৫৬৭)
(১৬) ছারছীনা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা নেছার উদ্দিন সাহেবের ভাষ্য
হচ্ছে
W মাসয়ালা পশ্চিম দেশে চাঁদ উঠার সংবাদ বা সাক্ষ্য যদি শরীয়ত সম্মত হয়, তবে সেই সংবাদে পূর্বদেশীয় লােকের প্রতি রোযা রাখা ফরজ হইবে। (আলমগীরী) (তরিকুল ইসলাম, খন্ড-২, পৃঃ-১৮৮)
(১৭) মুফতী আবু জাফর ফুরফুরী (রহ) এক বাহাসের রায় প্রদান করে বিগত ১২-১১-১৯৭৯ ইং তারীখে যে ফাতওয়া প্রদান করেছেন তা নিম্নরূপ:
(এখতেলাফুল মাতালে এর মাসলায় মৌঃ ইসহাক সাহেব প্রমাণ করেছেন, চাঁদ দেখার বিভিন্নতায় এবার নেই এবং মৌলভী রহিম সাহেব প্রমাণ করেছেন যে, এখতেলাফুল মাতালে-এর এতেবার আছে। আমাদের ফকিহগণের মধ্যেই মতভেদ রয়েছে,
অনেকে এয় এতেবায় করেছেন আবার অনেকে
করেননি। এ ক্ষেত্রে আমরা মুকাল্লেদ, ইমামদের যে কথার ওপর ফতােয়া তাই মেনে চলবলা ইবরাতালি ইখতেলাফিল মাতালে। এই কথাটি ফতোয়ায় গ্রাহামত, অতএব এর ওপর আমাদের সকলকে চলতে হবে। এক শহরবাসী চাঁদ দেখলে এবং এর সংবাদ সাক্ষী ঘারা অন্য শহরে পৌছলে উক্ত শহরবাসীর উপরও রোজা রাখা জরুরি হবে। (হযরত মাওলানা মুফতী মােঃ আবু জাফর ফুরফুরী , মুফতী ফুরফুরা দরবার শরীফ।
(১৮) ফাতওয়ায়ে নাঈমিয়ায় মুফতী আহমদ ইয়ার খান (রহঃ) লিখেন
مورا / امل بار مسلمان په ار تین میں ایران جان به رویم ر پر میں روانی سے معلوم ہوا نہیں کی پابندی کی کاروب واسه بالم روز زن و مامان ایرانی اند اثرتری دلم بن ا ا ن ا باااه ابلمل نے انہیں بال بوابات الاعلان بہت سے ملنے والوں اروری و بین ایران ای بله.
“হাদিসে সু” শব্দটি সমগ্র দুনিয়ার মুসলমান লক্ষ্য করে বলেছেন,
4.2 শব্দ যে মিটির মারজা চদ। , অর্থাৎ তোমাদের দর্শন বলেন নাই, যাতে বুঝা যায় যে, পৃথিবীর যে কোন দেশেই চন্দ্র উদিত হওয়া প্রমাণিত হলে সার দুনিয়ার মুসলমানের উপর রােষা ফরয হয়ে যাবে। শর্ত হল যে, চন্দ্র দর্শন শরীয়ত সম্মতভাবে হতে হবে। চাদের প্রথম তারিখ নির্ণয়ে চাদ উদয়ের স্থান ও সময়ের বৈষমা গ্রহণীয় নয়। শাফেয়ীদের মতে এক দেশের চান অন্য দেশের জন্য গ্রহণীয় নয়। ঐ হদিসটি শাফেয়ীদের বিপক্ষে এবং হানাফীদের পক্ষে।" (মারাতুল মুনাজীহ)
স্বাক্ষর হযরত মাওলানা আবদুল মন্নান, মুফতী, ফুরফুরা, মাওলানা মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ, মুদাররেস, ফুরফুরা ফতেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা।
ধন্যবাদ।