প্রচলিত আমলের সপক্ষ অবলম্বনকারীদের দলীল ও তাঁর জবাব | Documents of the proponents of the conventional period and his answer

প্রচলিত আমলের সপক্ষ অবলম্বনকারীদের দলীল ও তাঁর জবাব | Documents of the proponents of the conventional period and his answer

বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সমাজে প্রচলিত এলাকা ভিত্তিক আমলকে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য কিছু সংখ্যক ওলামায়ে কিরাম হাদিসে কুরাইব (রা:) নামে প্রসিদ্ধ একটি হাদীসের দলীল পেশ করেন। উক্ত হাদিসটি নিম্নরূপ:

عن كريب أن أم الفضل بنت الحارث بعنة إلى معاوية بالشام قال فقدمت الشام فقضيت حاجتها واسهل على رمضان وأنا بالشام فرأيت الهلال ليلة الجمعة ثم قدمت المدينة في آخر الشهر فسألني عبد الله بن عباس رضى ال له عنهما - ثم ذكر الهلال فقال متي رأيم الهلال فقلت رأيناة ليلة الجمعة. فقال ألت رأيقه نعم ورآة الناس وصاموا وصام معاوية. قال لكنا رأيناه ليلة السبت فلا گزال نصوم حتى تكمل ثلاثين أو قراة. فقلت أولا تكنفی برؤية معاوية وصيامه فقال " هكذا أمرنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم

অর্থ: “কুরাইব (রা:) হতে বর্ণিত, উম্মুল ফজল বিনতে হারেছ (রা:) তাকে শামে মুআবিয়া (রা:) এর নিকট কোন প্রয়ােজনে প্রেরণ করলেন। তিনি বলেন: অত:পর আমি তার প্রয়ােজন সমাপন করলাম এবং আমি শামে থাকাবস্থায়ই রামাদানের চাঁদ উদিত হল । আমি জুমার (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চাঁদ দেখলাম। অত:পর রামাদান মাসের শেষদিকে মদীনায় আসলাম। তখন আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা:) আমাকে রামাদানের চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে তােমরা শামে কখন চাঁদ দেখেছ? তখন আমি বললাম আমরা চাদ দেখেছি জুমার রাতে। তখন তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, তুমি কি চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, হ্যা!
মানুষের চাঁদ দেখেছে এবং সাওম রেখেছে। মুআবিয়া (রা:) সাওম রেখেছেন। অত:পর ইবনে আব্বাস (রা:) বললেন কিন্তু আমরাতাে চাঁদ দেখেছি শনিবার রাতে। অত:এব আমরা ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অথবা শাওয়ালের চাঁদ দেখা পর্যন্ত সাওম রাখবে। তখন (আমি কুরাইব) বললাম মুয়াবিয়া (রা:) এর চাঁদ দেখা ও তার সাওম রাখা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? ইবনে আব্বাস (রা:) বললেন, না! আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সা:) এমনটাই নির্দেশ করেছেন।" (সহীহ মুসলিম ২৫৮০)

হাদীসের জবাব:
সুবিজ্ঞ মুহাদ্দেসীনে কিরাম এবং হানাফী, হাম্বলী ও মালেকী মাযহাবের ইমামগণ অক্র হাদিসটি দলীল হিসেবে গ্রহণ না করে হাদিসটির নিমরূপ জবাব দান করেছেন এক: অত্র কিতাবের "রাসূলুল্লাহ (সা:) এর নিজ আমল" শিরােনামে যে চারটি হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে তার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) একজন মরুচারীর সংবাদকে ভিত্তি করে নিজে সাওম রেখেছেন এবং অন্যদেরকে সাওম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন । দূরদূরান্ত থেকে আগত একটি কাফেলার সংবাদের ভিত্তিতে ৩০শে রমযান মনে করে রাখা সাওম নিজে ভঙ্গ করেছেন এবং অন্যদেরকেও ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছেন। তাহলে যেখানে শরীয়ত প্রবর্তক নিজেই অন্যের সংবাদ গ্রহণ করে সাওম রেখেছেন এবং ঈদ করেছেন। সেখানে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) এর সংবাদ গ্রহণ করলেন, কি করলেন না তা কোন যুক্তিতেই দলীল হতে
পারেনা।

দুই: রাসূলুল্লাহ (সা:) এর পবিত্র আমল বিষয়ক উক্ত হাদীস তিনটি হাদিসে মারফু। (মহানবী সা. এর কথা ও কাজ), আর কুরাইব (রা:) এর হাদীস হচ্ছে হাদিসে মাওকুফ। (সাহাবীগণের কথা ও কাজ) অতএব উছুলে হাদীস বা হাদীস ব্যাখ্যার মূলনীতি অনুযায়ী হাদিসে মারফুর মােকাবিলায় হাদিসে মাওকুফ কখনও দলীল হতে পারেনা।
তিন: হাদিসে কুরাইব (রা:) এর মধ্যে ১৬ J, ৮ J ১৫ এবং বিশেষ উক্তি দুটি মহানবী (সা:) এর নয় বরং অত্র উক্তিদ্বয় আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা:) এর নিজস্ব উক্তি। তাই কোন সাহাবীর নিজস্ব উক্তি কখনই কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াত এবং মহানবী (সা:) এর নির্দেশ ও আমলের বিপরীতে দলীল হতে পারেনা।

চার: আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা:) তার উক্তিদ্বয় দ্বারা মূলত ইঙ্গিত করেছেন রাসূলুল্লাহ (সা:) এর বাণী: i, অর্থ:
রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, তােমরা চাঁদ দেখে সাওম রাখ এবং চাঁদ দেখে সাওম ভাঙ্গ এর দিকে। আর রাসূলুল্লাহ (সা:) এর এ বাণীর আমল উম্মতগণ কিভাবে করবেন তা মহানবী (সা:) নিজ জীবদ্ধশায়ই আমল করে দেখিয়ে গেছেন। তাহলে সকলকে চাঁদ দেখতে হবে না বরং কিছু সংখ্যকের দেখাই অন্যদের দেখার স্থলাভিষিক্ত হবে। অতএব ইবনু আব্বাস (রা:) এর উক্ত উক্তিদ্বয় দ্বারা নিজ নিজ এলাকায় চাঁদ দেখে আমল করতে হবে এ ব্যাখ্যা ঠিক নয়।

পাঁচ: সহীহ মুসলিম শরীফের বর্ণনায় কুরাইব (রা:) এর চাঁদ দেখার স্বীকৃতি মূলক শব্দ , "হ্যা আমি চাঁদ দেখেছি” কথাটির উল্লেখ থাকলেও তিরমীযী সহ অন্যান্য বর্ণনায় কুরাইব (রা:) নিজে চাঁদ দেখেছেন এরকম শব্দের উল্লেখ নেই। ফলে অক্র হাদিসটি a বা মূল ভাষ্য কম-বেশী হওয়ায় স্পষ্ট মারফু হাদিসের বিপরীতে কখনই দলীল হতে
পারেনা।
ছয়: আল্লামা শাওকানী (রঃ) তার লিখিত "নাইলুল আওতার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, কুরাইব (রা:) এর সংবাদ এবং শামবাসীর চাঁদ দেখাকে গ্রহণ করা এটা আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা:) এর নিজস্ব ইজতিহাদ। যা সার্বজনীন আইন হিসেবে প্রযােজ্য নয় ।
সাত: আল্লামা ইবনু হুমাম (র:) ফতহুল কাদীরে এবং আল্লামা ইবনু নুজাইম (র:) আল বাহরুর রায়েক এর মধ্যে উল্লেখ করেছেন যে, পরিষ্কার আকাশে পবিত্র রমযানের চাঁদ দেখা প্রমাণিত হওয়ার জন্য শরয়ী পদ্ধতি হচ্ছে ৪টি। ১. দু’জন আকেল, বালেগ ও স্বাধীন মুসলিম সাক্ষ্য দিবে, ২.
উক্ত গুণে গুণান্বিত দু'জন, অনুরূপ দু'জনের চাঁদ দেখার প্রতি সাক্ষ্য দিবে। ৩. অনুরূপ গুণে গুণান্বিত দু' ব্যক্তি চাঁদ দেখায় কাজীর ফয়সালার প্রতি সাক্ষ্য দিবে। ৪. চাঁদ দেখার খবর মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রচার পেয়ে দৃঢ়তার পর্যায়ে এমন ভাবে পৌছে যাবে যাকে মিথ্যা বলে ধারণা করা
যায়না।

কিন্তু শামবাসীর চাঁদ দেখার সংবাদ কুরাইব (রা:) কর্তৃক অত্র চার পদ্ধতির কোন পদ্ধতিতে ইবনে আব্বাস (রা:) এর নিকট উপস্থাপিত হয়নি। তাই শরয়ী বিচারে তিনি উক্ত সংবাদ গ্রহণ করেননি।
আট: আল্লামা ইবনু কুদামাহ (রঃ) তার মুগণী কিতাবে এবং শাইখুল হিন্দ হোসাইন আহমদ মাদানী মাআরিফুল মাদানিয়া-এর মধ্যে উল্লেখ করেছেন যে, যদিও ইবনু আব্বাস (রা:) এর সাথে কুরাইব (রা:) এর আলােচনা হয়েছিল রামাদানের চাঁদ দেখা নিয়ে কিন্তু এর প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া পড়ছিল অত্যাসন্ন ঈদুল ফিতরের উপর। কারণ উক্ত হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কুরাইব (রা:) রামাদানের শেষের দিকে শাম থেকে মাদিনায় এসে ছিলেন। আর শরীয়তের সিদ্ধান্ত মােতাবেক কমপক্ষে দু'জনের সাক্ষী ছাড়া সাওম ছেড়ে ঈদ করা যায়না । তাই ইবনু আব্বাস (রা:) একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ না করে বলেছিলেন ১৬ ১ ১৫ অর্থাৎ আমরা ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অথবা শাওয়ালের চাঁদ দেখা পর্যন্ত সাওম রাখবে। (দেখুনঃ তানযীমুল আশতাত, খন্ড-২, পৃঃ-৪১, মিফতাহ নাজাহ, খন্ড-১, পৃঃ-৪৩২,মায়ারিফুল মাদানিয়া, খন্ড-৩, পৃ-৩২-৩৫)

নয়: ইবনে আব্বাস (রা:) এর আমলকে দলীল গ্রহণ করে, যে সকল পূর্ববর্তী আলেমগণ এলাকা ভিত্তিক আমলের সপক্ষে মতামত দিয়েছেন তারা প্রায় সকলেই একথা বলেছেন যে, নিকটবর্তী দেশ বা অঞ্চলে চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় হবে না। এক স্থানের দেখা দ্বারাই সকল স্থানে আমল করতে হবে। আর যদি চাঁদ দেখার দেশটি চাঁদ না দেখার দেশ থেকে অনেক দূরে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে যার যার দেখা অনুযায়ী আমল করতে হবে। একটু গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে সকলের নিকটই একথা সূর্যালােকের মত পরিষ্কার যে, এক দেশের চাঁদ দেখার সংবাদ অন্য দেশ থেকে গ্রহণ করা না করার দিক থেকে ঐ সকল সম্মানিত ওলামাই কিরাম পৃথিবীকে নিকটবর্তী ও দূরব্তী এ দু'ভাগে ভাগ করার কারণ হচ্ছে যােগাযােগ ব্যবস্থার সমস্যা। তাদের যুগে যােগাযােগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তাদের এ মতামত ঐ যুগের জন্য যুক্তিযুক্ত এবং যথার্থ ছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী সম্মানিত ওলামাই কিরামের ঐ মতামত বর্তমানে দুটি, কারণে
৫৮ এক: যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নতির কারণে বর্তমান গ্রহণযােগ্য নয়। পৃথিবীর বিপরীত মেরুর দেশ দুটিও তাদের যুগের পাশাপাশি অবস্থিত দু'টি জেলা শহরের চেয়েও অধিক নিকটবর্তী। সুতরাং আজকের যোগাযোগ ব্যবস্থায় দূরবর্তী দেশ বলতে আর কোন কথা নেই। দুই: তারা যে ওজর বা বাধ্যবাধকতার কারণে এ মতামত দিয়েছেন আজকের বিশ্ব ব্যবস্থায় সে ওজর সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

দশ: এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়:
প্রথম বিষয় হচ্ছে: ইবনে আব্বাস (রা:) কুরাইবকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি নিজে চাঁদ দেখেছ? যদি শাম দেশের চাঁদ দেখা মদীনাবাসীদের জন্য গ্রহণযােগ্য না হতাে তাহলে ইবনে আব্বাস (রা:) এই প্রশ্ন কেন করলেন?
দ্বিতীয় লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে: কুরাইব বলেন, মুআবিয়ার চাঁদ দেখা ও সিয়াম পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? এতে বুঝা যায়, এক এলাকার চাঁদ দেখা অন্য এলাকার জন্য গ্রহণযােগ্য, এটা সকলেরই জানা ছিল আর সেকারণেই কুরাইব উপরােক্ত কথাগুলাে বললেন। তৃতীয় লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে: ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) আমাদেরকে এভাবেই নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশটি কি?
কোথায় আছে? তা কিন্তু তিনি বলেন নাই । হতে পারে তিনিও উপরে বর্ণিত প্রথম হাদীস , তােমরা চাঁদ দেখে সাওম রাখ এবং চাঁদ দেখে সাওম ছাড় (ঈদ করাে) এই হাদীসের উপর ইজতিহাদ করে উক্ত ফতওয়া দিয়েছেন। কিন্তু ইবনে আব্বাসের এই ইজতিহাদ গ্রহণযােগ্য নয়। কেননা এর বিপরিতে রাসূল (সা:) এর নিজের আমলের অনেক সহীহ ও সরীহ হাদীস রয়েছে যা পূর্বে আলােচনা করা হয়েছে। এ কারনেই মুসলিম মিল্লাতের অনেক বড় বড় ইমাম ও মুহাদ্দিসগন ইবনে আব্বাস (রা:) এর ইজতিহাদকে প্রত্যাখান করেছে ।
সার্বজনীন আইন হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। আর তারা কুরাইব (রা:) এর হাদীসকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে গণ্যকরে পবিত্র কুরআন, হাদীস এবং রাসুলুল্লাহ (সা:) এর নিজ আমলের ভিত্তিতে ফাতওয়া দিয়েছেন যে,
"চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা মােটেই গ্রহণযােগ্য নয়। বরং পৃথিবীর যে কোন স্থানে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সমগ্র পৃথিবীতে এক কেন্দ্রিক তারিখ গণনা করতে হবে এবং একই দিনে সকলের উপর আমল করা জরুরী হবে।”

প্রসংগত উল্লেখ্য যে, ইমাম যায়লাঈ (রহঃ) ৬ষ্ঠ স্তরের ফকীহ। তাই তিনি মুজতাহিদ ফিদ দ্বীন নন বরং একজন মুকাল্লিদ। অতএব একজন মুকাল্লিদ হিসেবে নিজ ইমামের সিদ্ধান্তের অনুসরণই তার জন্য যুক্তিযুক্ত। তিনি নিজেই J বলে স্বীকার করেছেন যে বেশীর ভাগ ফকীহ উক্তমত গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তার সমসাময়িক সময়ে যােগাযােগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে চাঁদ উদয়ের সংবাদ দেয়া-নেয়ার সমস্যার সমাধান কল্পেই তিনি নিকটবর্তী দেশ এবং দূরবর্তী দেশ অনুসরণের ফাতওয়া দিয়েছিলেন। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা কোন অসুবিধা না থাকায় সম্মানিত ইমামগণের কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক মূল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমলের কোন বিকল্প নেই।
বার: যদি সমস্ত বাহাছ তর্ক পরিহার করে হাদিসে কুরাইব-এর ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে সাওম ও ঈদ মেনে নেওয়া হয় এবং কুরআন, সুন্নাহ ও ফিকহের উল্লেখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাওম, ঈদ, কুরবানীসহ চাঁদের তারিখ সংশ্লিষ্ট ইবাদাত সমূহ সমগ্র বিশ্বে একই দিনে অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন সব জটিল সমস্যার সৃষ্টি হবে যার কোন সমাধান নেই ।
Previous
Next Post »