প্রধান প্রধান তাগুতঃ
(ক) শাসক : ঐ সকল শাসক যারা নিজেরা সার্বভৌমত্বের দাবী করে এবং
আলাহর আইন বাতিল করে মনগড়া আইন তৈরী করে।
(খ) শয়তান।
(গ) তাক্বলিদে-আবা (কুরআন-সুন্নাহ বাদ দিয়ে পূর্বপুর“দের অনুসরণ
করা)।
(ঘ) আল-হাওয়া (প্রবৃত্তি)।
(ঙ) পীর-ফকির, কবর, মাজার, দরগা: যাদের ইবাদত করা হয় এবং
তাদের ইবাদতের দিকে যারা আহ্বান করে।
(চ) গণক, জ্যোতিষী, যাদুকর : যারা ভবিষ্যতের জ্ঞান আছে বলে দাবী
করে এবং তাদের কথা যারা বিশ্বাস করে।
(ছ) বিচারক: যারা আলাহর নাযিলকৃত আইন বাদ দিয়ে মানব রচিত
আইন দিয়ে বিচার-ফয়সালা করে।
প্রথম প্রকার তাগুতের বিস্তারিত বিবরণ:
বলে এই জাতীয় তাগুতকেই বর্জন করা হয়েছে। কারণ মানেই
হচ্ছে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, আর (রব) হচ্ছে সেই
সার্বভৌমত্যের কমান্ড।
পৃথিবীতে যে বা যারা সার্বভৌমত্বের দাবী করবে, সে বা তারা নিজেদের
কে আলাহ দাবী করলো। তারপর যখন আইন তৈরী করে তখন সে রব
হয়ে যায়। আলাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন ঃ
হযরত আদী ইবনে হাতিম (রা:) থেকে বর্ণিত, (তখন তিনি খৃষ্টান ছিলেন,
পরবতর্ীতে ইসলাম গ্রহণ করেন) তিনি আলাহর রাসূল সালালাহু আলাইহি
ওয়া সালামকে ‘তারা তাদের ধর্মীয় পন্ডিত ও নেতাদেরকে রব বানিয়ে
নিয়েছে’ -এই আয়াত পড়তে শুনেঃ তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলালাহ!
আমরাতো তাদের ইবাদত করি না। তখন রাসূল সা. বলেন, যখন তারা
আলাহর হালাল করা বিষয়কে হারাম করে কিংবা আলাহ যা হারাম
করেছেন তাকে হালাল করে, তখন কি তোমরা মেনে নিতে না? তিনি
বললেনঃ হাঁ। রাসূল (সাঃ) বললেনঃ এটাই হচ্ছে তাদেরকে রব বানানো
বা তাদের ইবাদত করা। (আহমদ, তিরমীযি)
এই আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে ইমাম আলুসী (রহ:) বলেনঃ যে,
অধিকাংশ মুফাসসীরদের বক্তব্য হলোঃ তারা তাদের ধমর্ীয় নেতা এবং
পীর-বুযুর্গদেরকে গোটা সৃষ্টির রব বলে বিশ্বাস করতো না। বরং তারা
তাদেরকে নিজ এলাকার সর্বময় ক্ষমতার মালিক এবং আদেশ-নিষেধের
মালিক জ্ঞান করতো।
এমনিভাবে কোরআনের আরেকটি আয়াত থেকেও প্রমাণিত হয় যে, মানুষ
কিভাবে মানুষের রব হয়ে যায়। ইরশাদ হচ্ছেঃ
অর্থ: “বলুনঃ হে আহ্লে-কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস-যা
আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান-যে, আমরা আলাহ্ ছাড়া অন্য
কারও ইবাদত করব না, তঁার সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত করব না এবং
একমাত্র আলাহ্কে ছাড়া কাউকে ‘রব’ বানাবো না।” (আল ইমরান :৬৪)
অর্থ: “হে কারাগারের সঙ্গীরা! পৃথক পৃথক ‘বহু রব’ ভাল, না
পরাক্রমশালী এক আলাহ্?” (ইউছুফ, ১২ঃ ৩৯)
সুতরাং বুঝা গেল, যারাই পৃথিবীতে নিজেদেরকে সার্বভৌম ক্ষমতার
অধিকারী মনে করবে এবং সার্বভৌমত্বের কমান্ড তথা আইন তৈরী করবে,
জারী করবে, তারাই বাতিল ইলাহ এবং বাতিল রব বলে বিবেচিত হবে।
তাগুতী রাষ্ট্রের চার মৌলিক উপাদানঃ
১. সার্বভৌমত্ব ২. সংবিধান ৩. ভৌগলিক সীমারেখা ৪. জনসংখ্যা
যে কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য এই চারটি মৌলিক উপাদান অত্যাবশ্যকীয় ঃ
বাংলাদেশ ও এর ব্যতিক্রম নয়। তার নিজস্ব সংবিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ঃ ৭, সংবিধানের প্রাধান্য।Ñ১) এ বলা
হয়েছেঃ ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে
এই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কতর্ৃত্বে কার্যকর
হইবে।
এই জনগণ ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে এম.পি-দেরকে ক্ষমতা হস্তান্তর
করে, অতঃপর সংসদ সদস্যগণ জনগণ হতে প্রাপ্ত ক্ষমতা বলে
নিজেদেরকে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে জ্ঞান করে। সে হিসাবে
তারা আলাহর আসনে বসে। তারপরে তারা সার্বভৌমত্বের কমান্ড হিসেবে
আইন তৈরী করে। সেই হিসাবে তারা ‘রব’ হয়ে যায়। এমনকি তারা
আলাহর আইনকে বাতিল করে বিকল্প আইন তৈরী করে। যেমন চোরের
হাত কাটা, সুদ হারাম, মদ হারাম, যিনা-ব্যভিচারের বিচার ইত্যাদিকে
বাতিল করে নিজেদের মনগড়া আইন তৈরী করে নিয়েছে।
এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ: ৭, এর ২-এ বলা হয়েছে: জনগণের
অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সবোর্চ্চ আইন
এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তাহা
হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।’
এর দ্বারা যদি অন্য কোন দেশের আইনকে বুঝানো হয়ে থাকে, তাহলে
আমাদের কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু আমরা দেখি এর আওতায়
কোরআনকেও আনা হয়েছে। কোরআনের যেসকল আইন দেশের
সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক সেসকল ক্ষেত্রে কোরআনের আইনকে বাতিল
করা হয়েছে। যেমন পূর্বে উলেখিত বিষয়সমূহ।
বলে যে সকল বাতিল ইলাহ এবং রবদেরকে বর্জন করা হয়েছে,
তাদের মধ্যে এই সকল শাসকবর্গ অন্যতম। কোরআনের পরিভাষায় এই
বাতিল ইলাহ ও রবগুলোকে ‘তাগুত’ বলা হয়।
ফেরআউন কে কুরআনে এই অর্থেই ত্বা-গুতবলা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছেঃ
অর্থ: “ফিরআউনের নিকট যাও, সে ত্বাগুত হয়ে গেছে।” (সূরা ত্বহা :
২৪)
অর্থ: “তোমরা উভয়ে ফেরআউনের কাছে যাও সে ত্বা-গুত(খুব উদ্ধত)
হয়ে গেছে। (ত্বহা, ২০ঃ ২৪)
সে নিজেকে (ইলাহ) দাবী করেছে। দলীল ঃ
অর্থ: “ফেরাউন বলল, হে পরিষদবর্গ, আমি জানি না যে, আমি ব্যতীত
তোমাদের আর কোন ইলাহ’ আছে। (কাসাস, ২৮ঃ ৩৮)
সে আরও বললঃ
অর্থ: “ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে ইলাহ’রূপে
গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব। (শুআরা
:২৯)
আবার সে নিজেকে রব’ বলেও দাবী করেছে। ইরশাদ হচ্ছেঃ
অর্থ: “সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল। এবং
বললঃ আমিই তোমাদের প্রধান রব। (নাযিআত, ৭৯ঃ ২৩-২৪)
এর মানে সে নিজেকে আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য্য, গ্রহ-নক্ষত্র সহ গোটা
সৃষ্টির উপর সার্বভৌমত্বের দাবী করে নাই, বরং মিসর ভূ-খন্ডে তার
সার্বভৌমত্ব এবং তারই কমান্ড চলবে এই অর্থেই সে ইলাহ ও রব দাবী
করে ছিল। দলীল ঃ
অর্থ: “ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, আমি কি
মিসরের অধিপতি নই? এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়,
তোমরা কি দেখ না? (যুখর“ফ, ৪৩ঃ ৫১)
সুতরাং যে সকল মন্ত্রী, এম.পি-গণ নিজেদেরকে সার্বভৌম ক্ষমতার
অধিকারী বলে দাবী করেন, তারাই বাতিল ইলাহ তথা ত্বা-গুতহিসাবে গণ্য
হবে।
আইন প্রণয়নের জন্য যে সকল গুণের প্রয়োজন তা কেবল
আলাহর মধ্যেই পাওয়া যায়ঃ
আইন প্রণয়নের জন্য যেই গুণাবলী দরকার তা হচ্ছে :
১। পূর্ণ প্রজ্ঞাময়ী হতে হবে।
আইন প্রণয়নকরীকে পরিপূর্ণ প্রজ্ঞাময়ী এবং কৌশলী হতে হবে। তা না
হলে কোনটি মানুষের জন্য কল্যাণকর আর কোনটি অকল্যাণকর তা
জানতে ব্যর্থ হবে। আর এই গুণটি কেবল আলাহর মধ্যেই রয়েছে।
ইরশাদ হচ্ছেঃ
অর্থ: “আর তিনি উত্তম ফয়সালাকারী। (সুরা আল আ’রাফ: ৮৭, সুরা
ইউনুস: ১০৯, সুরা ইউসুফ: ৮০)
অর্থ: “আর আপনি সর্বোত্তম ফায়সালাকারী। (সুরা হুদ: ৪৫)
অর্থ: “আলাহ কি বিচারকদের শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?” (সুরা আত-ত্বীন:৮)
২। - পূর্ণ দয়াময় হতে হবে।
দ্বিতীয় গুণ হল আইন প্রনয়ন কারীকে সকলের প্রতি পূর্ণ সদয় ও
কর“নাময়ী হতে হবে। তা না হলে সে আইন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার
জন্য হবে এবং তার অপব্যবহার হবে। আর এ গুণটিও কেবল আলাহ
(সুব:)-র মধ্যেই পাওয়া যায়। ইরশাদ হচ্ছে -
অর্থ: এবং আপনি রহমকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ট রহমকারী। (সুরা ইউসুফ: ৯)
অর্থ: এবং আপনি রহমকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ট রহমকারী। (সুরা মুমিনুন-
২৩: ১০৯, সুরা আম্বিয়া: ৮৩, সূরা মুমিনুন- ২৩ ঃ ১১৮)
৩। সৎ ও ন্যায় বিচারক হতে হবে।
সার্থবাদী ও পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারবে না। আর এইগুণটিও আলাহর
মধ্যেই পাওয়া যায়। ইরশাহ হচ্ছে-
.
অর্থ: “নিশ্চয় আলাহ ইনসাফ, সদাচার ও নিকট আত্মীয়দের দান করার
আদেশ দেন এবং তিনি আশীলতা, মন্দ কার ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ
করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ
কর।” (সুরা নাহ্ল : ৯০)
অর্থঃ- আলাহ্ ছাড়া কারো নির্দেশ চলে না। তিনি সত্য বর্ণনা করেন এবং
তিনিই শ্রেন্ঠতম মীমাংসাকারী। (সূরা আন’আম- ৬ ঃ ৫৭)
.
.
অর্থ: “আমি কি আলাহ ছাড়া অন্য কাউকে বিচারক হিসেবে তালাশ করব?
অথচ তিনিই তোমাদের নিকট বিস্তারিত কিতাব নাযিল করেছেন। আর
যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছিলাম তারা জানত যে, তা তোমার রবের
পক্ষ থেকে যথাযথভাবে নাযিলকৃত। সুতরাং তুমি কখনো সন্দেহকারীদের
অন্তভুর্ক্ত হয়ো না।(১১৪) আর তোমার রবের বাণী সত্য ও
ন্যায়পরায়ণতার দিক থেকে পরিপূর্ণ হয়েছে। তঁার বাণীসমূহের কোন
পরিবর্তনকারী নেই। আর তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।” (সুরা আল
আনআম: ১১৪-১১৬)
৪। সর্বময় জ্ঞানের অধিকারী হতে হবেঃ
আইন প্রণয়নকারীকে অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত সব কিছুর জ্ঞান থাকতে
হবে। নতুবা ভবিষ্যতে এ আইন দ্বারা কি সমস্যা হবে তা জানতে ব্যর্থ
হবে এবং পরে আবার আইন সংশোধন করতে হবে, যেমন আমাদের
দেশে বার বার আইন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আর এ গুণটিও কেবল
আলাহ (সুব:) তা আলার মধ্যেই পাওয়া যায়। কারণ আলাহর কাছে কোন
অতীত বা ভবিষ্যত নাই তার কাছে সবই বর্তমান এমনকি তিনি অন্ত—
রের খবরও জানেন। ইরশাদ হচ্ছে।
অর্থ:- নিশ্চই তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে, তা আলাহ
জানেন। (সুরা আল বাক্বারা:৭৭)
অর্থ:- আর আলাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (সুরা আল বাকারা:
২১৬)
হচ্ছে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, আর (রব) হচ্ছে সেই
সার্বভৌমত্যের কমান্ড।
পৃথিবীতে যে বা যারা সার্বভৌমত্বের দাবী করবে, সে বা তারা নিজেদের
কে আলাহ দাবী করলো। তারপর যখন আইন তৈরী করে তখন সে রব
হয়ে যায়। আলাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন ঃ
হযরত আদী ইবনে হাতিম (রা:) থেকে বর্ণিত, (তখন তিনি খৃষ্টান ছিলেন,
পরবতর্ীতে ইসলাম গ্রহণ করেন) তিনি আলাহর রাসূল সালালাহু আলাইহি
ওয়া সালামকে ‘তারা তাদের ধর্মীয় পন্ডিত ও নেতাদেরকে রব বানিয়ে
নিয়েছে’ -এই আয়াত পড়তে শুনেঃ তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলালাহ!
আমরাতো তাদের ইবাদত করি না। তখন রাসূল সা. বলেন, যখন তারা
আলাহর হালাল করা বিষয়কে হারাম করে কিংবা আলাহ যা হারাম
করেছেন তাকে হালাল করে, তখন কি তোমরা মেনে নিতে না? তিনি
বললেনঃ হাঁ। রাসূল (সাঃ) বললেনঃ এটাই হচ্ছে তাদেরকে রব বানানো
বা তাদের ইবাদত করা। (আহমদ, তিরমীযি)
এই আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে ইমাম আলুসী (রহ:) বলেনঃ যে,
অধিকাংশ মুফাসসীরদের বক্তব্য হলোঃ তারা তাদের ধমর্ীয় নেতা এবং
পীর-বুযুর্গদেরকে গোটা সৃষ্টির রব বলে বিশ্বাস করতো না। বরং তারা
তাদেরকে নিজ এলাকার সর্বময় ক্ষমতার মালিক এবং আদেশ-নিষেধের
মালিক জ্ঞান করতো।
এমনিভাবে কোরআনের আরেকটি আয়াত থেকেও প্রমাণিত হয় যে, মানুষ
কিভাবে মানুষের রব হয়ে যায়। ইরশাদ হচ্ছেঃ
অর্থ: “বলুনঃ হে আহ্লে-কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস-যা
আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান-যে, আমরা আলাহ্ ছাড়া অন্য
কারও ইবাদত করব না, তঁার সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত করব না এবং
একমাত্র আলাহ্কে ছাড়া কাউকে ‘রব’ বানাবো না।” (আল ইমরান :৬৪)
অর্থ: “হে কারাগারের সঙ্গীরা! পৃথক পৃথক ‘বহু রব’ ভাল, না
পরাক্রমশালী এক আলাহ্?” (ইউছুফ, ১২ঃ ৩৯)
সুতরাং বুঝা গেল, যারাই পৃথিবীতে নিজেদেরকে সার্বভৌম ক্ষমতার
অধিকারী মনে করবে এবং সার্বভৌমত্বের কমান্ড তথা আইন তৈরী করবে,
জারী করবে, তারাই বাতিল ইলাহ এবং বাতিল রব বলে বিবেচিত হবে।
তাগুতী রাষ্ট্রের চার মৌলিক উপাদানঃ
১. সার্বভৌমত্ব ২. সংবিধান ৩. ভৌগলিক সীমারেখা ৪. জনসংখ্যা
যে কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য এই চারটি মৌলিক উপাদান অত্যাবশ্যকীয় ঃ
বাংলাদেশ ও এর ব্যতিক্রম নয়। তার নিজস্ব সংবিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ঃ ৭, সংবিধানের প্রাধান্য।Ñ১) এ বলা
হয়েছেঃ ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে
এই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কতর্ৃত্বে কার্যকর
হইবে।
এই জনগণ ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে এম.পি-দেরকে ক্ষমতা হস্তান্তর
করে, অতঃপর সংসদ সদস্যগণ জনগণ হতে প্রাপ্ত ক্ষমতা বলে
নিজেদেরকে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে জ্ঞান করে। সে হিসাবে
তারা আলাহর আসনে বসে। তারপরে তারা সার্বভৌমত্বের কমান্ড হিসেবে
আইন তৈরী করে। সেই হিসাবে তারা ‘রব’ হয়ে যায়। এমনকি তারা
আলাহর আইনকে বাতিল করে বিকল্প আইন তৈরী করে। যেমন চোরের
হাত কাটা, সুদ হারাম, মদ হারাম, যিনা-ব্যভিচারের বিচার ইত্যাদিকে
বাতিল করে নিজেদের মনগড়া আইন তৈরী করে নিয়েছে।
এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ: ৭, এর ২-এ বলা হয়েছে: জনগণের
অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সবোর্চ্চ আইন
এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তাহা
হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।’
এর দ্বারা যদি অন্য কোন দেশের আইনকে বুঝানো হয়ে থাকে, তাহলে
আমাদের কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু আমরা দেখি এর আওতায়
কোরআনকেও আনা হয়েছে। কোরআনের যেসকল আইন দেশের
সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক সেসকল ক্ষেত্রে কোরআনের আইনকে বাতিল
করা হয়েছে। যেমন পূর্বে উলেখিত বিষয়সমূহ।
বলে যে সকল বাতিল ইলাহ এবং রবদেরকে বর্জন করা হয়েছে,
তাদের মধ্যে এই সকল শাসকবর্গ অন্যতম। কোরআনের পরিভাষায় এই
বাতিল ইলাহ ও রবগুলোকে ‘তাগুত’ বলা হয়।
ফেরআউন কে কুরআনে এই অর্থেই ত্বা-গুতবলা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছেঃ
অর্থ: “ফিরআউনের নিকট যাও, সে ত্বাগুত হয়ে গেছে।” (সূরা ত্বহা :
২৪)
অর্থ: “তোমরা উভয়ে ফেরআউনের কাছে যাও সে ত্বা-গুত(খুব উদ্ধত)
হয়ে গেছে। (ত্বহা, ২০ঃ ২৪)
সে নিজেকে (ইলাহ) দাবী করেছে। দলীল ঃ
অর্থ: “ফেরাউন বলল, হে পরিষদবর্গ, আমি জানি না যে, আমি ব্যতীত
তোমাদের আর কোন ইলাহ’ আছে। (কাসাস, ২৮ঃ ৩৮)
সে আরও বললঃ
অর্থ: “ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে ইলাহ’রূপে
গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব। (শুআরা
:২৯)
আবার সে নিজেকে রব’ বলেও দাবী করেছে। ইরশাদ হচ্ছেঃ
অর্থ: “সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল। এবং
বললঃ আমিই তোমাদের প্রধান রব। (নাযিআত, ৭৯ঃ ২৩-২৪)
এর মানে সে নিজেকে আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য্য, গ্রহ-নক্ষত্র সহ গোটা
সৃষ্টির উপর সার্বভৌমত্বের দাবী করে নাই, বরং মিসর ভূ-খন্ডে তার
সার্বভৌমত্ব এবং তারই কমান্ড চলবে এই অর্থেই সে ইলাহ ও রব দাবী
করে ছিল। দলীল ঃ
অর্থ: “ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, আমি কি
মিসরের অধিপতি নই? এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়,
তোমরা কি দেখ না? (যুখর“ফ, ৪৩ঃ ৫১)
সুতরাং যে সকল মন্ত্রী, এম.পি-গণ নিজেদেরকে সার্বভৌম ক্ষমতার
অধিকারী বলে দাবী করেন, তারাই বাতিল ইলাহ তথা ত্বা-গুতহিসাবে গণ্য
হবে।
আইন প্রণয়নের জন্য যে সকল গুণের প্রয়োজন তা কেবল
আলাহর মধ্যেই পাওয়া যায়ঃ
আইন প্রণয়নের জন্য যেই গুণাবলী দরকার তা হচ্ছে :
১। পূর্ণ প্রজ্ঞাময়ী হতে হবে।
আইন প্রণয়নকরীকে পরিপূর্ণ প্রজ্ঞাময়ী এবং কৌশলী হতে হবে। তা না
হলে কোনটি মানুষের জন্য কল্যাণকর আর কোনটি অকল্যাণকর তা
জানতে ব্যর্থ হবে। আর এই গুণটি কেবল আলাহর মধ্যেই রয়েছে।
ইরশাদ হচ্ছেঃ
অর্থ: “আর তিনি উত্তম ফয়সালাকারী। (সুরা আল আ’রাফ: ৮৭, সুরা
ইউনুস: ১০৯, সুরা ইউসুফ: ৮০)
অর্থ: “আর আপনি সর্বোত্তম ফায়সালাকারী। (সুরা হুদ: ৪৫)
অর্থ: “আলাহ কি বিচারকদের শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?” (সুরা আত-ত্বীন:৮)
২। - পূর্ণ দয়াময় হতে হবে।
দ্বিতীয় গুণ হল আইন প্রনয়ন কারীকে সকলের প্রতি পূর্ণ সদয় ও
কর“নাময়ী হতে হবে। তা না হলে সে আইন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার
জন্য হবে এবং তার অপব্যবহার হবে। আর এ গুণটিও কেবল আলাহ
(সুব:)-র মধ্যেই পাওয়া যায়। ইরশাদ হচ্ছে -
অর্থ: এবং আপনি রহমকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ট রহমকারী। (সুরা ইউসুফ: ৯)
অর্থ: এবং আপনি রহমকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ট রহমকারী। (সুরা মুমিনুন-
২৩: ১০৯, সুরা আম্বিয়া: ৮৩, সূরা মুমিনুন- ২৩ ঃ ১১৮)
৩। সৎ ও ন্যায় বিচারক হতে হবে।
সার্থবাদী ও পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারবে না। আর এইগুণটিও আলাহর
মধ্যেই পাওয়া যায়। ইরশাহ হচ্ছে-
.
অর্থ: “নিশ্চয় আলাহ ইনসাফ, সদাচার ও নিকট আত্মীয়দের দান করার
আদেশ দেন এবং তিনি আশীলতা, মন্দ কার ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ
করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ
কর।” (সুরা নাহ্ল : ৯০)
অর্থঃ- আলাহ্ ছাড়া কারো নির্দেশ চলে না। তিনি সত্য বর্ণনা করেন এবং
তিনিই শ্রেন্ঠতম মীমাংসাকারী। (সূরা আন’আম- ৬ ঃ ৫৭)
.
.
অর্থ: “আমি কি আলাহ ছাড়া অন্য কাউকে বিচারক হিসেবে তালাশ করব?
অথচ তিনিই তোমাদের নিকট বিস্তারিত কিতাব নাযিল করেছেন। আর
যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছিলাম তারা জানত যে, তা তোমার রবের
পক্ষ থেকে যথাযথভাবে নাযিলকৃত। সুতরাং তুমি কখনো সন্দেহকারীদের
অন্তভুর্ক্ত হয়ো না।(১১৪) আর তোমার রবের বাণী সত্য ও
ন্যায়পরায়ণতার দিক থেকে পরিপূর্ণ হয়েছে। তঁার বাণীসমূহের কোন
পরিবর্তনকারী নেই। আর তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।” (সুরা আল
আনআম: ১১৪-১১৬)
৪। সর্বময় জ্ঞানের অধিকারী হতে হবেঃ
আইন প্রণয়নকারীকে অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত সব কিছুর জ্ঞান থাকতে
হবে। নতুবা ভবিষ্যতে এ আইন দ্বারা কি সমস্যা হবে তা জানতে ব্যর্থ
হবে এবং পরে আবার আইন সংশোধন করতে হবে, যেমন আমাদের
দেশে বার বার আইন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আর এ গুণটিও কেবল
আলাহ (সুব:) তা আলার মধ্যেই পাওয়া যায়। কারণ আলাহর কাছে কোন
অতীত বা ভবিষ্যত নাই তার কাছে সবই বর্তমান এমনকি তিনি অন্ত—
রের খবরও জানেন। ইরশাদ হচ্ছে।
অর্থ:- নিশ্চই তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে, তা আলাহ
জানেন। (সুরা আল বাক্বারা:৭৭)
অর্থ:- আর আলাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (সুরা আল বাকারা:
২১৬)
অর্থ:- আর আলাহ জানেন কে ফাসাদকারী, কে সংশোধনকারী। (সুরা
আল বাক্বারা: ২২০)
অর্থ: আর আলাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (সুরা বাক্বারা: ২৩২)
অর্থ:- আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আলাহ তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা
জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আলাহ
ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সুরা আল বাক্বারা: ২৩৫)
অর্থ: তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে।
(সুরা আল বাক্বারা: ২৫৫)
অর্থ: আর আলাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (সুরা আল ইমরান: ৬৬)
অর্থ:- ওরা হল সেসব লোক, যাদের অন্তরে কি আছে আলাহ তা
জানেন। (সুরা আন নিসা: ৬৩)
.
অর্থ:- আলাহ আসমানসমূহে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তা জানেন।
আর আলাহ সব কিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। (সুরা আল মায়িদা: ৯৭)
অর্থ: “আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আলাহ তা
জানেন।” (সুরা আল মায়িদা:৯৯)
অর্থ:- আর আসমানসমূহ ও যমীনে তিনিই আলাহ, তিনি জানেন
তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য এবং জানেন যা তোমরা অর্জন কর। (সুরা
আন’আম: ৩)
অর্থ:- আর আলাহ জানেন, নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। (সুরা আত্ তাওবা:
৪২)
অর্থ:- তারা কি জানে না, নিশ্চয় আলাহ তাদের গোপনীয় বিষয় ও গোপন
পরামর্শ জানেন? আর নিশ্চয় আলাহ গায়েবসমূহের ব্যাপারে সম্যক জ্ঞাত।
(সুরা আত্ তাওবা: ৭৮)
অর্থ:- তিনি জানেন যা তারা গোপন করে এবং যা তারা প্রকাশ করে।
নিশ্চয় তিনি অন্তর্যামী। (সুরা হুদ: ৫)
অর্থ:- আলাহ জানেন যা প্রতিটি নারী গর্ভে ধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা
কমে ও বাড়ে। (সুরা আর রা’দ: ৮)
অর্থ:- তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ্যে ঘোষণা করে, নিশ্চয় তা
আলাহ জানেন। (সুরা আন নাহাল : ২৩)
অর্থঃ তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত। (সূরা হাদীদ : ৬)
অর্থঃ- আপনি কি ভেবে দেখেননি যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু
আছে, আলাহ্ তা জানেন। তিন ব্যক্তির এমন কোন পরামর্শ হয় না যাতে
তিনি চতুর্থ না থাকেন এবং পঁাচ জনেরও হয় না, যাতে তিনি ষন্ঠ না
থাকেন তারা এতদপেক্ষা কম হোক বা বেশী হোক তারা যেখানেই থাকুক
না কেন তিনি তাদের সাথে আছেন, তারা যা করে, তিনি কেয়ামতের দিন
তা তাদেরকে জানিয়ে দিবেন। নিশ্চয় আলাহ্ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
(মুজাদালা- ৫৮ ঃ ৭)
আল বাক্বারা: ২২০)
অর্থ: আর আলাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (সুরা বাক্বারা: ২৩২)
অর্থ:- আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আলাহ তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা
জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আলাহ
ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সুরা আল বাক্বারা: ২৩৫)
অর্থ: তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে।
(সুরা আল বাক্বারা: ২৫৫)
অর্থ: আর আলাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (সুরা আল ইমরান: ৬৬)
অর্থ:- ওরা হল সেসব লোক, যাদের অন্তরে কি আছে আলাহ তা
জানেন। (সুরা আন নিসা: ৬৩)
.
অর্থ:- আলাহ আসমানসমূহে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তা জানেন।
আর আলাহ সব কিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। (সুরা আল মায়িদা: ৯৭)
অর্থ: “আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আলাহ তা
জানেন।” (সুরা আল মায়িদা:৯৯)
অর্থ:- আর আসমানসমূহ ও যমীনে তিনিই আলাহ, তিনি জানেন
তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য এবং জানেন যা তোমরা অর্জন কর। (সুরা
আন’আম: ৩)
অর্থ:- আর আলাহ জানেন, নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। (সুরা আত্ তাওবা:
৪২)
অর্থ:- তারা কি জানে না, নিশ্চয় আলাহ তাদের গোপনীয় বিষয় ও গোপন
পরামর্শ জানেন? আর নিশ্চয় আলাহ গায়েবসমূহের ব্যাপারে সম্যক জ্ঞাত।
(সুরা আত্ তাওবা: ৭৮)
অর্থ:- তিনি জানেন যা তারা গোপন করে এবং যা তারা প্রকাশ করে।
নিশ্চয় তিনি অন্তর্যামী। (সুরা হুদ: ৫)
অর্থ:- আলাহ জানেন যা প্রতিটি নারী গর্ভে ধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা
কমে ও বাড়ে। (সুরা আর রা’দ: ৮)
অর্থ:- তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ্যে ঘোষণা করে, নিশ্চয় তা
আলাহ জানেন। (সুরা আন নাহাল : ২৩)
অর্থঃ তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত। (সূরা হাদীদ : ৬)
অর্থঃ- আপনি কি ভেবে দেখেননি যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু
আছে, আলাহ্ তা জানেন। তিন ব্যক্তির এমন কোন পরামর্শ হয় না যাতে
তিনি চতুর্থ না থাকেন এবং পঁাচ জনেরও হয় না, যাতে তিনি ষন্ঠ না
থাকেন তারা এতদপেক্ষা কম হোক বা বেশী হোক তারা যেখানেই থাকুক
না কেন তিনি তাদের সাথে আছেন, তারা যা করে, তিনি কেয়ামতের দিন
তা তাদেরকে জানিয়ে দিবেন। নিশ্চয় আলাহ্ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
(মুজাদালা- ৫৮ ঃ ৭)
অর্থঃ- যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি করে জানবেন না? তিনি সূক্ষজ্ঞানী,
সম্যক জ্ঞাত। (সূরা মূলক- ৬৭ ঃ ১৪)
অর্থঃ- আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে,
সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও
অধিক নিকটবর্তী। (সূরা ক্বাফ- ৫০ ঃ ১৬)
অর্থঃ- দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।
তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না,
কিন্তূ যতটুকু তিনি ইচছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও
যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে
কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচচ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। আয়াতুল কুরসী (সূরা
বাক্বারা- ২ ঃ ২৫৫)
৫। ট /সার্বভৌম ক্ষমতাঃ-
ইসলামে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক একমাত্র আলাহ। ইরশাদ হচ্ছে ঃ
অর্থ:- ‘বলুন ইয়া আলাাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে
ইচছা ক্ষমতা দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচছা ক্ষমতা ছিনিয়ে নাও
এবং যাকে ই্চছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচছা অপমানে পতিত কর।
তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে
ক্ষমতাশীল।” (আল ইমরান, ৩ ঃ ২৬)
অর্থ:- বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব। আর তিনি সব কিছুর
উপর সর্বশক্তিমান।” (সুরা মূলক:১)
ধন্যবাদ সবাইকে।
সম্যক জ্ঞাত। (সূরা মূলক- ৬৭ ঃ ১৪)
অর্থঃ- আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে,
সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও
অধিক নিকটবর্তী। (সূরা ক্বাফ- ৫০ ঃ ১৬)
অর্থঃ- দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।
তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না,
কিন্তূ যতটুকু তিনি ইচছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও
যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে
কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচচ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। আয়াতুল কুরসী (সূরা
বাক্বারা- ২ ঃ ২৫৫)
৫। ট /সার্বভৌম ক্ষমতাঃ-
ইসলামে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক একমাত্র আলাহ। ইরশাদ হচ্ছে ঃ
অর্থ:- ‘বলুন ইয়া আলাাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে
ইচছা ক্ষমতা দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচছা ক্ষমতা ছিনিয়ে নাও
এবং যাকে ই্চছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচছা অপমানে পতিত কর।
তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে
ক্ষমতাশীল।” (আল ইমরান, ৩ ঃ ২৬)
অর্থ:- বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব। আর তিনি সব কিছুর
উপর সর্বশক্তিমান।” (সুরা মূলক:১)
ধন্যবাদ সবাইকে।