অ্যাপল কর্পস, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা, তাদের জনপ্রিয় মোবাইল ডিভাইসের নাম হিসাবে "আইফোন" ব্যবহারের উপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি একটি স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিকে "আইফোন" নাম ব্যবহারের একচেটিয়া অধিকার দেবে। ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি 2000 সালে "iPhone" শব্দটির জন্য একটি ট্রেডমার্ক আবেদন দাখিল করে এবং 2006 সালে পেটেন্ট দেওয়া হয়।
শুধুমাত্র একটি ফেডারেল কোম্পানিকে আইফোন ট্রেডমার্কের অধিকার দেওয়ার জন্য অ্যাপলের সাম্প্রতিক অনুরোধ ট্রেডমার্কের "এক্সক্লুসিভিটি" নিশ্চিত করার বিষয়টিকে সমাধান করবে।
আইজিবি ইলেকট্রনিক্স, পূর্বে গ্রেডিয়েন্ট ইলেকট্রনিক্স নামে পরিচিত, একটি ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি যেটি বলে যে এটি 2017 সাল পর্যন্ত "আইফোন" ট্রেডমার্ক ব্যবহার করার অধিকার রাখে। স্পষ্টতই, অ্যাপল কেঁচো খননের জন্য সাপের গর্তে হাত দিয়েছে। কারণ তাদের অবস্থান বেশি ঝুঁকিতে।
গত ডিসেম্বরে, আইজিবি "আইফোন" নামে একটি নতুন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন সিরিজ চালু করেছে; ‘অ্যান্ড্রয়েড চালিত আইফোন’-এর খবর শুনে প্রথমে মানুষ অবাক হলেও পুরো ঘটনা জানার পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
অ্যাপলের জন্য এখন দুটি রাস্তা খোলা আছে। এক, আদালতে IGB-এর বিরুদ্ধে লড়াই, এবং দুই, অর্থের বিনিময়ে ট্রেডমার্ক কেনা। আপাতদৃষ্টিতে, প্রথম উপায়টি কঠিন বলে মনে হচ্ছে, কারণ প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, অ্যাপল আইফোন বাজারে আসার 6 বছর পরে 2000 সালে আইজিবি দ্বারা ট্রেডমার্ক অ্যাপ্লিকেশনটি দায়ের করা হয়েছিল। এই ক্ষেত্রে, টিম কুকের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সংস্থাটি দ্বিতীয় উপায়টি বিবেচনা করতে পারে, যথা ট্রেডমার্ক কেনার জন্য।
অ্যাপল গত বছরের মাঝামাঝি চীনে প্রিভিউ নামে একটি কোম্পানির কাছ থেকে 60 মিলিয়ন ডলারে অনুরূপ পরিস্থিতিতে আইফোনের ট্রেডমার্ক অধিকার কিনেছিল।
এদিকে আইজিবি যেকোনো আলোচনায় বসতে ইতিবাচক সংকেত দিয়েছে। ব্রাজিলের মতো সম্ভাবনাময় বাজারে অ্যাপল কতটা খরচ করতে ইচ্ছুক সেটাই এখন দেখার। সর্বশেষ আপডেটের জন্য সাথে থাকুন!
আপনি কি মনে করেন অ্যাপল আদালতে যাবে? নাকি আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসা?