একজন জার্মান ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে তিনি একটি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন, রেডিও ট্রান্সমিটার, ফ্লাইট ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার এবং কিছু হ্যাকিং কৌশলের সাহায্যে ভূমি থেকে বাণিজ্যিক বিমান হাইজ্যাক করতে সক্ষম। 30 বছর বয়সী একজন মানুষ হুগো টেসো বলেছেন যে তিনি একজন প্রশিক্ষিত পাইলট ছিলেন যিনি একটি বিমানের অভ্যন্তরীণ ডেটা সিস্টেমে প্রযুক্তিগত ত্রুটির সুযোগ নিয়ে যান মাত্র কয়েকটি বোতাম টিপে গাড়িটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে।
স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে বিমান হাইজ্যাক ও বিধ্বস্ত?
আমস্টারডামে একটি বক্স কনফারেন্সে হ্যাকিংয়ের ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে মিঃ টেসো বলেছিলেন যে তিনি একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন যা বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেবে। Planesplute নামক একটি অ্যাপ বিমানের ফ্লাইট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
তিনি বলেন, ফ্লাইট সিমুলেটর ব্যবহার করে ছিনতাইকৃত বিমানটিকে ইচ্ছামতো চালানো সম্ভব। টেসো আরও দেখায় যে কীভাবে অ্যাপ্লিকেশনটি বিমানের এসি থেকে নেভিগেশন সিস্টেম পর্যন্ত সবকিছু ক্যাপচার করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সফ্টওয়্যারটির ইউজার ইন্টারফেসটি উড়তে বা দুর্ঘটনার জন্য প্রয়োজনীয় বোতাম সহ একটি অ্যানিমেটেড ককপিটের মতো দেখায়। এর একটি কাজ হল ককপিটে একটি বিশেষ আলো চালু করা যাতে পাইলটকে একটি প্যানিক সিগন্যাল দেওয়া হয় যে প্লেনের সিস্টেমটি ব্যর্থ হতে চলেছে।
মিঃ টেসো বলেন, বিমানটি "অটোপাইলট" মোডে থাকলেই হ্যাকিং করা সম্ভব হবে। তবে এই পরিস্থিতিতেও যে কোনো পাইলট ম্যানুয়ালি বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন।
তবে ইউএস ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ) বলেছে যে তারা হুগো টেসোর দাবি বিশ্বাস করে না।