আল কোরআন মুসলিমদের একমাত্র সংবিধান | Al Quran Muslimder Ekmatro Songbidhan | শাইখ জসিমুদ্দিনরাহমানি



আল কোরআন মুসলিমদের একমাত্র সংবিধান| শাইখ জসিমুদ্দিন রাহমানি 


এই লেকচারটি ডাউনলোড করতে নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন।

নিচে কয়েকটি হাদিস লিখা হলো ভালো লাগলে পড়তে পারেন।

بسم الله الرحمن الرحيم أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبذه ورسئولة أم بعد فإن خير الحديث كتاب ال له وخير الهدي هدي محمد - لمر وش - ر الأم ولی محدثاتها وكل بدعة ضلالة و كل ضلالة في النار 

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। আমরা কেবলমাত্র তাঁরই প্রসংশা করি এবং তাঁর কাছেই সাহায্য চাই এবং তার কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা করি। এবং তার কাছেই হেদায়েত চাই। আমরা আমাদের নফসের সকল অনিষ্টতা এবং সকল কর্মের ভূল-ভ্রান্তি থেকে তাঁর কাছেই আশ্রয় চাই। তিনি যাকে হেদায়েত দান করেন কেউ তাকে গােমরাহ করতে পারে না। আর তিনি যাকে গােমরাহ হতে দেন কেউ তাকে হেদায়েত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক ও একক, তার কোন শরীক নেই। আমি আরাে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সা:) আল্লাহর বান্দা ও তার প্রেরিত রাসূল। আমি ঘােষণা করছি যে, সর্বাধিক সত্য কথা, আল্লাহর কালাম (আল্লাহর কথা)। আর সর্বাধিক উত্তম আদর্শ, মুহাম্মাদ (সা:) এর আদর্শ। সর্বাধিক উত্তম কাজ, কুরআন-সুন্নাহে বর্ণিত কাজ। আর সর্বাধিক মন্দ কাজ, কুরআন-সুন্নাহ বিবর্জিত বিদ’আত কাজ এবং সকল বিদ'আত
গােমরাহী আর সকল গােমরাহীর পরিণাম জাহান্নাম আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে নবুওয়্যাত প্রাপ্তির শুরু থেকেই অনেক বিরােধিতা হয়েছে কিন্তু কেউ তার চরিত্র নিয়ে কোন কটুক্তি করতে পারেনি। মক্কার কুখ্যাত নেতা আবু লাহাব, আবু জাহেলরা যতই বিরােধিতা করুক তারা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর মহান চরিত্রের উপর কোন প্রকার আপত্তি করেনি। 

কিন্তু বর্তমানে মুসলিম নামধারী একদল পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত, জ্ঞানপাপী, ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদের পা-চাটা গােলাম তথা কথিত ব্লগার চক্র মক্কার কুখ্যাত কাফের আবু জাহেল, আবু লাহাবের হার মানিয়ে মুহাম্মাদ (সা.) এর বিরূদ্ধে কাল্পণীক কিচ্ছা কাহিনী তৈরী করে নানা প্রকার কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা বানােয়াট কটুক্তি করে যাচ্ছে। দাউদ হায়দার (রঙ্গিলা রাসূলের লিখক), সালমান রুশদী (দি স্যাটানিক ভার্সেস এর লিখক), তাসলিমা নাসরীন, হুমায়ুন আজাদ (পাক সার জমিন সাদ বাদ প্রবন্ধের লিখক), আহাম্মক শরীর (আহমদ শরীফ), কবি শামসুর রহমান, কবির চৌধুরী, ড. জাফর ইকবাল গংদের একদল ভাবশিষ্য আহমেদ রাজীব ওরফে থাবা বাবা, আসিফ মহিউদ্দিন, আরিফের 6. রহমান, ইবরাহীম খলীলসহ কিছু ব্লগার আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ন বিধান ও আহকামকে নিয়ে এমন কিছু কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে যা কোনাে সভ্য মানুষ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না ।

এর মাধ্যমে মূলত দেশি-বিদেশি কাফের, নাস্তিক, মুরতাদ প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পার্থিব স্বার্থ হাসিল করাই এদের মূল উদ্দেশ্য। কারণ বর্তমান যুগে কেউ যদি কাফের-মুশরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় এবং তাদের আস্থাভাজন হতে চায় তার জন্য সহজ উপায় হলাে ইসলামের বিরূদ্ধে অথবা স্বয়ং আল্লাহর বিরূদ্ধে অথবা আল্লাহর রাসূল (সা.) এর বিরূদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদান করা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা। নতুন প্রজন্মের অন্তর থেকে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও ঈমান, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি ভালােবাসা এবং ইসলামের বিধানের প্রতি আনুগত্যের বিষয়গুলােকে উৎখাত করে তার পরিবর্তে ঘৃণা-বিদ্বেষ তৈরী করাই এদের মূল টার্গেট। এভাবে ইসলামকে এবং ইসলামের সকল বিষয়গুলােকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসলাম ও মুসলিমকে নির্মূল করাই এদের উদ্দেশ্য। পাকিস্তানের মালালা কাহিনী, বাংলাদেশের শাহবাগের প্রজন্ম কাহিনী ইয়াহুদি-খ্রিস্টান ও নাস্তিক-মুরতাদদের সেই নীল নকশারই বাস্তব রূপ। 

বিশেষ করে বাংলাদেশকে তুরস্কের মতাে তথা কথিত ধর্ম নিরপেক্ষ (মূলত ইসলাম বিদ্বেষী) একটি রাষ্ট্র বানাতে একদল মানুষ উঠে পরে লেগেছে। এরা কোনােভাবেই ইসলাম, মুসলিম, আল্লাহ, মুহাম্মদ ইত্যাদি নাম পর্যন্ত বরদাশত করতে পারে না। সে কারণে নজরুল ইসলাম হল থেকে ইসলাম কেটে শুধু নজরুল হল, ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হল' থেকে মুসলিম' শব্দ কেটে দিয়ে শুধু সলিমুল্লাহ হল', সর্বোপরি সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা মুছে ফেলে দিয়ে এখন মুসলিমদের অন্তর থেকেও এগুলাে মুছে ফেলার জন্য পাঁয়তারা চলছে।

এহেন মূহুর্তে এই সব ইসলামের দুশমনদের মুখােশ উম্মােচন করে দিয়ে তাদের সম্পর্কে মুসলিম জাতিকে সােচ্চার করা এবং তাদের বিরূদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তােলা প্রতিটি মুসলিমদের উপর ঈমানী দায়িত্ব। সে দায়িত্ব আঞ্জাম দেওয়ার জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এ বইতে পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর মহান চরিত্র নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে বর্তমান যুগের মুসলিম নামধারী নাস্তিক-মুরতাদদের কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে এ জাতীয় নাস্তিক-মুরতাদদের ব্যাপারে ইসলামী শরিয়তের ফয়সালা ও বিধান আলােচনা করা হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে আমাদের করণীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে ও পঞ্চম অধ্যায়ে ঈমান ভঙ্গের কারণ ও উসূলে তাকফীর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ (সুব.) আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল নাস্তিক মুরতাদদের বিরূদ্ধে সীসাঢালা লৌহ প্রাচীরের ন্যায় দৃঢ় সংকল্প নিয়ে
মােকাবেলা করার তাওফিক দান করুন। আমীন! মুফতী মুহাম্মদ জসীমুদ্দীন রাহমানী তারিখ : ০৫-০৩-২০১৩ ইং



Previous
Next Post »