আলোচনা চলছিলো হযরত ইব্রাহীম আ. এর মহান আল্লাহর সন্ধান লাভ
সম্পর্কে। এই মা’রিফাত বা মহান আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আমাদের সমাজে
বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। অনেকে শরীয়াত এবং মা’রিফাতকে আলাদা
করে ফেলছে। আল্লাহর মা’রিফাত বা পরিচয়ের শ্লোগান তুলে একদল লোক শরীয়াত থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে দিতে অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
একদল লোক যাদের মধ্যে শরীয়াতের কোন আমল নেই, কোন পাবন্দী
নেই তারা নিজেদেরকে মা’রিফাতের নামে আলাদা একটি ধর্মের রূপ
দিতে চাচ্ছে।
মূলত: মা’রিফাত কি জিনিষ? মা’রিফাত মানেই হচ্ছে আল্লাহর পরিচয়।
শরীয়াত ও মা’রিফাতকে যারা আলাদা করে তারা মহানবী সা. এর আনীত
ইসলামের অনুসরণ করে না। তাদের ধর্ম ভিন্ন। যদিও নাম দেয় তারা
মুসলিম। মূলত: এরা ইসলামের কেউ নয়। এজন্যই এ বিষয়টি
গভীরভাবে জানা এবং উপলব্ধি করা প্রয়োজন। কেননা, একজন লোক
সত্যিকারভাবে আল্লাহর পূর্ণ পরিচয় সম্পর্কে অবগত হতে পারলে কেবল
তখনই সে ভালোভাবে তার ইবাদত করতে পারবে।
পূর্বের আলোচনায় আমরা বলেছিলাম যে, মহান আল্লাহর পরিচয় এই
গোটা বিশ্বের প্রতিটি বস্তুর মাঝেই পাওয়া যায়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রাণী
জগত, স্থল জগত ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছিলো। মহান আলাহ
রাব্বুল আলামীন সূরায়ে নাহলের ৫ নাম্বার আয়াতে বলেন,
অর্থ: “আর তিনি তোমাদের জন্য চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছে। যার মধ্যে
তোমাদের জন্য রয়েছে শীত থেকে বাচার জন্য গরম ব্যবহার্য বস্তু তৈরীর
উপকরণ এবং আরো বহুবিধ উপকার। আবার এদের থেকে কিছু তোমরা
ভক্ষণ করো।” (সূরা নাহল, আয়াত ৫)
এই পশু দ্বারা অনেক উপকার হয় আমাদের। কি কি উপকার হয় সে
সম্পর্কে অপর এক আয়াতে আল্লাহ আরো বলছেন,
অর্থ: “আর এই পশু গুলো তোমাদের ভারী বোঝাসমূহ বহন করে এক
শহর থেকে অপর শহরে নিয়ে যায়। যেখানে তোমরা নিজেরা অনেক কষ্ট
না করে নিতে পারতে না। নিশ্চয়ই তোমাদের রব তার বান্দাদের উপর
সীমাহীন দয়াময়।” (সূরা নাহল, আয়াত ৭)
আগের জমানায় যে কোন সরঞ্জাম এবং ভারি বস্তু বহন করার জন্য
এগুলোই ছিলো একমাত্র মাধ্যম। এমনকি বর্তমান আধুনিক সময়েও ঘোড়া-গাধা ইত্যাদিও অনেক ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে পড়ে। যেই সকল
রাস্তায় এই আধুনিক যুগেও গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না সেখানে এখনও
আলাহর দেয়া এই গাড়ি তথা হাতি-ঘোড়া-উট দ্বারা মাল আনা নেয়ার
কাজ করা হয়। বিশেষত: ঘোড়া দিয়ে জিহাদের কাজ। এজন্য জিহাদের
ঘোড়া সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে সূরায়ে আদিয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
ইরশাদ হচ্ছে,
অর্থ: “শপথ উর্দ্ধশ্বাসে ধাবমান অশ্বরাজির। যারা পায়ের আঘাতে
অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বিচ্ছুরিত করে। সকাল বেলায় অভিযান পরিচালনা করে।
এরপর ধুলি উড়িয়ে শত্র“বাহিনীর মধ্যে ঢুকে পড়ে। নিশ্চয়ই মানুষ তার
রবের বড়ই অকৃতজ্ঞ।” (সূরা আদিয়াত, আয়াত ১-৫)
এই আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে, যে একটি ঘোড়া যাকে তার মালিক
সৃষ্টি করে নি কেবলমাত্র খাওয়া-দাওয়া দেয়। আর এতেই সেই ঘোড়াটি
তার এতো অনুগত হয় যে মালিকের নির্দেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজনে নিজের
জীবনকেও তুচ্ছ করে ঝঁাপিয়ে পরে। জানের মায়া সকল প্রানীর মধ্যেই
আছে। একটি গর“কেও লাঠি দেখালে সে পালিয়ে যায়। কিন্তু এই ঘোড়া
মনিবের হুকুম পালন করার জন্য প্রয়োজনে শত্র“বাহিনীর মধ্যে ঢুকে পরে
নিজের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দেয়। এই প্রাণীটির মাধ্যমে আলাহ
মূলত: মানুষকে তার রবের আনুগত্য করার বিষয়টি অনুধাবন করাতে
চাচ্ছেন। এজন্যই ঘোড়ার আলোচনার পরেই রবের অকৃতজ্ঞ
বান্দাদের কথা উলেখ করেছেন। কুরআনের আরেক স্থানে বলা
হয়েছে,
অর্থ: “মানুষেরা কি লক্ষ্য করে না উটের দিকে, কিভাবে তাকে সৃষ্টি করা
হয়েছে। আসমানের দিকে লক্ষ্য করে না, কিভাবে তাকে সুউচ্চ করে সৃষ্টি
করা হয়েছে। সে কি পাহাড় গুলোর দিকে লক্ষ্য করে না, কিভাবে তা সৃষ্টি
করেছেন। যমীনের দিকে লক্ষ্য করছে না, যমীনকে কিভাবে বিছিয়ে দেয়া
হয়েছে।” (সূরা গাশিয়া, আয়াত ১৭-২৪)
একজন রাখাল বা গ্রাম্য ব্যক্তি সহজে কিভাবে আলাহকে চিনবে তার বর্ণনা
দিয়েছেন মহান আল্লাহ তাআলা এই আয়াতের মাধ্যমে। এরপর উটের
ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এব্যাপারে একটি হাদীস:
প্রিয়নবী সা. কে সাহাবায়ে কিরাম রা. একবার জিজ্ঞাসা করলেন, যদি
আমরা বনে কোন ছাগল পাই, তাহলে তা কি নিতে পারবো?
(তখন বকরী আরবের লোকদের কাছে তুচ্ছ বা অল্প দামের বলে গণ্য
হতো তাই) মহানবী সা. তখন বললেন, (যদি তোমার মন বলে যে, তুমি
তাকে তার মালিকের কাছে পৌছে দেয়ার চেষ্টা করবে তবে) তুমি তা
নিতে পারো। কারণ তুমি তা না হয়তো অন্য কোউ নিবে না হয় বনের
নেকড়ে এসে তা খেয়ে ফেলবে। (অর্থ এটি তুমি নিতো পারো।) এরপর
একজন জিজ্ঞাসা করলেন, যদি উট পাওয়া যায়? রাসূল সা. রাগ করলেন।
বললেন, উটের কি হয়েছে, তার পায়ে মর“ভূমিতে চলার উপযোগী জুতা
পড়ানো আছে। তার ভেতরে পানির মশক আছে। তার পেটে পানির
টাংকি আছে। সে যখন পানি পান করে তখন সে পানি খেয়ে নিজের
টাংকিও পূর্ণ করে নেয়। তারপর সে একটানা ১৫ দিন পর্যন্ত পানি না
খেয়েও পথ চলতে পারে। ভেতরে পানি আছে, প্রয়োজনের সময় ধাক্কা
মারে গলা ভিজে যায়, সে আবার চলতে থাকে। উটের পিঠে বসার জন্য
নরম কুজ থাকে সে একটি বসার জন্য একটি ধরার জন্য এবং একটি
হেলান দেয়ার জন্য এমন ৩ টি ভাজ থাকে। আরবের কোন কোন উটের
পিঠে এমন ৭টি ভাজও দেখা গেছে। আমাদের দেশে যেমন ঝর-বৃষ্টি হয়,
আরবেও মাঝে মধ্যে প্রায়ই তেমন ধুলি বৃষ্টি হয়। মর“ভূমির মধ্যে যখন
ধুলিঝড় হয় তখন উট গুলো বালির মধ্যে মাথা গুজে বসে থাকে। উটের
নাকের সামনে দু’টি পর্দা আছে। সে তার পর্দা দু’টিকে দিয়ে নাক বন্ধ
করে বসে থাকে। এরপর ঝর থামলে সে মাথা বের করে আবার পথ
চলতে থাকে। নাকে পর্দা থাকার কারণে তার নাকের ভেতর কোন বালু
প্রবেশ করতে পারে না। তার কোন সমস্যা হয় না।
উটের এতো গুলো গুণ থাকার কারণেই মহান আল্লাহ এই ব্যাপারে
কুরআনের এই আয়াতে তার থেকে শিক্ষণীয় নিদর্শন গ্রহণ করার কথা
ঘোষণা করেছেন। এরকমভাবে অন্যান্য পশু যেমন ঘোড়া-হাতি ইত্যাদিও
মানুষের অনেক উপকারে আসে। একইভাবে আরেক স্থানে বলা হয়েছে,অর্থ: “ঘোড়া-গাধা-খচ্চর এগুলো মহান আলাহ তোমাদের আরোহন করার
জন্য সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে সৌন্দর্য্যও আছে এবং তিনি আরো এমন
কিছু সৃষ্টি করবেন, যা তোমরা আজকে জানো না।” (সূরা নাহল : ৮)
এই আয়াতে উলেখ করা - তিনি আরো এমন কিছু সৃষ্টি করবেন, যা
তোমরা আজকে জানো না।- বক্তব্যের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরীনে কিরাম
বলেন, বর্তমান যুগের আধুনিক সব আবিষ্কারও এই আয়াতের অন্তর্ভূক্ত।
অর্থাৎ মহান আল্লাহর প্রদত্ত জ্ঞান দিয়ে মানুষ আজকে যেই মোবাইল-
কম্পিউটার প্রভৃতি আবিস্কার করেছে এবং ভবিষ্যতে আরো যা যা
আবিস্কার করবে তাই মহান আল্লাহ এই আয়াতের মাধ্যমে ইশারা
করেছেন। এইভাবে মহান আল্লাহ তাআলা তার অপর এক আয়াতে
আলোচনা করছেন,
অথ: “তিনিই সেই মহান সত্ত্বা, যিনি আসমান থেকে তোমাদের জন্য পানি
বর্ষণ করেন যার থেকে তোমারা পান করো এবং এর মাধ্যমে তোমরা
তোমাদের বাগানে সেচ দাও। (সূরা নাহল, আয়াত ১০)
অথ: “তিনিই সেই মহান সত্ত্বা, যিনি তোমাদের জন্য সাগরকে প্রবাহিত
করে দিয়েছেন যাতে করে তোমরা সেখান থেকে তরতাজা মৎস আহরণ
করতে পারো এবং এর থেকে যেনো তোমরা দামী দামী পাথর সমূহ বের
করতে পারো। যা তোমরা পরিধান করবে। এবং তোমরা দেখবে সমূদ্রের
উপর দিয়ে জাহাজগুলো পানি বিদীর্ণ করে চলছে। যাতে এর মাধ্যমে
তোমরা তোমাদের রিযিক তালাশ করতে পারো এবং আলাহর শুকরিয়া
আদায় করো।” (সূরা নাহল : ১৪)
সুবহানাল্লাহ! সাগরে মহান আল্লাহ মানুষের খাওয়ার জন্য কত রকম আর
ধরণের মাছ সৃষ্টি করেছেন। ইলিশ মাছসহ হাজারো রকমের সুস্বাদু মাছ
আমরা সাগর থেকে পাই। এছাড়াও এই সাগরে অনেক প্রাণী রয়েছে।
একেক প্রাণীর একেক বিশেষত্ব আছে। আজায়েবুল হায়াওয়ানাত কিতাবে
লেখা হয়েছে, সাগরে যেই তিমি মাছ আছে এই তিমি মাছের পিঠে ঢাকনা
আছে। যখন পানির গভীরে যেতে চায় তখন সে তার ডানা মেলে ধরে
এবং শরীরের বিশেষ সেল গুলোর মুখ খুলে দেয়। তখন তার ভেতর পানি
ঢুকে শরীর ভারী হয়ে যায় এবং সে সমূদ্রের গভীরে চলে আসে খুব
সহজেই। এরপর যখন আবার তার সমূদ্রের উপরে উঠার প্রয়োজন হয়
তখন সে তার শরীরের সেই সেল গুলোতে হাওয়া পাম্প করে ভরতে
থাকে এবং পানি গুলো বের করে দেয়। এভাবে সে আস্তে আস্তে
পানির উপরে চলে আসে। এই তিমি মাছের উপর গবেষণা করেই মানুষ
সাবমেরিন আবিষ্কার করেছে। এছাড়াও সূরায়ে মায়িদার ১ নাম্বার আয়াতে
মহান আল্লাহ বলছেন,
অথ: “আমি তোমাদের জন্য চতুস্পদ জন্তু খাওয়া হালাল করে দিয়েছি।”
সুবহানাল্লাহ মানুষের জন্য মহান আল্লাহ গর“-মহিষ-উট-দুম্বা-ভেড়াসহ
কত ধরণের প্রাণী খাওয়া হালাল করে দিয়েছেন। আমাদের দেশে তো
গোশতের কোম্পানী নেই। বিদেশে এই গোশত প্রসেসিংয়ের উপর স্বতন্ত্র
কোম্পানী আছে। তাদের এতো বড় বড় মেশিন আছে যার এক দিকে
গর“-খাসি-ভেরা ঢুকিয়ে দিবে অপর দিক দিয়ে তা জবাই হয়ে, চামড়া
ছিলে, নাড়ি-ভূড়ি আলাদা হয়ে শুধু গোশত পিস হয়ে প্যাকেট হয়ে বের
হয়ে আসে। অবশ্য এই রকম জবাই করা প্রাণী খাওয়া জায়েজ হবে কি না
তা ভিন্ন বিষয়। কারণ বিসমিলাহ পড়ে জবেহ না করলে তা খাওয়া হালাল
নয় হারাম। এজন্য সেই সকল দেশের মুসলমানরা হালাল গোশত খুঁজে
কিনেন। এরপর মহান আল্লাহ অপর এক আয়াতে বলছেন,অর্থ: “আল্লাহ তোমাদেরকে পশু-প্রাণীর মধ্যে যাদেরকে রিযক হিসেবে
হালাল করেছেন তা তোমরা খাও। তবে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো
না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্র“।” (সূরা আনআম : ১৪২)
একইভাবে মহান আল্লাহ সূরায়ে ইয়াসীনের ৭১ ও ৭২ নং আয়াতেও মহান
আল্লাহ এই ধরণের প্রাণীদের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। ইরশাদ
হয়েছে,
অর্থ: “আর তারা কি লক্ষ্য করো না যে আমি কিভাবে তাদের জন্য পশু-
প্রাণী গুলোকে সৃষ্টি করেছি। এরা এই পশু গুলোর মালিক হয়ে যায়, পশু
গুলোকে পরিচালনা করে। আমি তাদের জন্য এই সব গুলোকে তাদের
অধীনস্ত করে দিয়েছি ফলে তারা এর কিছুর উপর আরোহন করে এবং
বাকি কতকগুলোকে আহার করে। আর এগুলোর মধ্যে তাদের জন্য আরো
অনেক উপকার এবং পানীয় রয়েছে, সুতরাং তারা কি কৃতজ্ঞ হবে না?।”
(সূরা আনআম : ১৪২)
সুবহানাল্লাহ! এতো বড় বড় হাতি, তারা এই মানুষের কথা কথা শুনে।
কত বড় উট সেও মানুষের অনুগত। একটা বাচ্চাও একটি উট বা হাতির
উপর চড়ে তাকে নিয়ে বেড়িয়ে আসে। একইভাবে ঘোড়া ও গাধাও। তবে
এই সকল প্রাণীর মধ্যে কিছুকে খাওয়া বৈধ। যেমন উট-গর“-মহিষ
ইত্যাদি। আর হাতি-ঘোড়া এবং পালিত গাধা খাওয়া জায়েজ নেই। তবে
জংলী গাধা খাওয়া যাবে। জঙ্গলের নীল গাই খাওয়া যাবে। একইভাবে
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন,
.
অর্থ: “(তিনিই সেই মহান সত্ত্বা) যিনি তোমাদের জন্য জমীনকে সমতল
করে দিয়েছেন এবং সেখানে তোমাদের জন্য বেঁচে থাকার অনেক উপায়-
উপকরণ দিয়ে দিয়েছেন। আর তিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন।
এরপর সেই পানি থেকে আমি সব জিনিষ গুলোকে (উদ্ভিদ বলো, মানুষ
বলো, পশু-পাখী বলো) জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি। তোমরা এগুলো
নিজেরা খাও এবং তোমাদের পশুদেরকে খাওয়াও। নিশ্চয়ই এই সকল
বিষয়ের মধ্যে আকল ও বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়
রয়েছে।” (সূরা ত্বহা, আয়াত ৫৩-৫৪)
আল্লাহ আকবার, উদ্ভিদ জগতের জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি হওয়া, ফুল-ফল
এবং মৌমাছি-ভ্রমর এসকল কিছুর প্রজননের যেই বিষয়টি বিজ্ঞানীরা
হাজার হাজার বছর গবেষণা করে বুঝতে পেরেছেন, কুরআন সেই বিষয়
গুলোকে তারও অনেক আগেই এমন এক সময়ে বলে দিয়েছে যখন এই
সকল বিজ্ঞানের কোন অস্তিত্বই ছিলো না।
এত কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Follow Us !